সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পোর্ট কানেকটিং রোড পরিদর্শনে- মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

এমডি নিজাম উদ্দীন 
চট্টগ্রাম -৩০ জুন-২০২০ খ্রি.
নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ নিমতলা থেকে পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ আকষ্মিক পরিদর্শন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। পরিদর্শনকালে মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং রোড গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়েই বন্দর থেকে প্রতিদিন পণ্য বা কন্টেইনারবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ এবং হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। ছয় লেন বিশিষ্ট পোর্ট কানেকটিং রোড উন্নয়ন কাজ এখন প্রায় শেষ প্রান্তে। এটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা ফিরে আসবে। এসময় তিনি সড়ক সংলগ্ন এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে সাময়িক দুর্ভোগ, হয়রানি হচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রসব বেদনা। এ বেদনা সইতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই এলাকা হবে নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় গড়ে উঠবে সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল। এই সড়কে দুই দফায় ৫০ কোটি করে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমতলা পোর্ট কানেকটিং থেকে বড়পুল, বড়পুল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে বড়পুল নয়াবাজার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাস্তার দুইপাশে আর সিসি ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ, রাস্তার মাঝখানে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মিডিয়ান নির্মাণ, এলইডি আলোকায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ছয় লেনের সড়কটি দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার ও প্রস্থ ১২০ ফুট। অপরদিকে একই প্রকল্পে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে। মেয়র সকল ধরণের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে যাতায়তের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি সরকারের সেবামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং কাজের মানও রক্ষা হচ্ছে না। এ ধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কার্যকলাপেলিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, করোনাকালে অসৎ প্রকৃতির স্বার্থপর গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেট লুন্ঠন প্রবৃত্তিতেলিপ্ত। এরা সরকার ও জনগণের শক্র করোনা অদৃশ্য শত্রু তাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা দৃশ্যমান শক্র তাদেরকে ঘায়েল করার ক্ষমতা সরকার ও জনগণের আছে। তাই এই শক্র কে নির্মূল করতে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। এসময় মেয়র আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই সড়কের সকল উন্নয়ন কাজ শেষ করে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব রায়হান ইউসুফ, চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, হাজী বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype