পরপারে চলে গেলেন প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আজিম
মহিউদ্দিন ইমন
শিক্ষক হিসেবে যেমন সবার প্রিয় ছিলেন তেমনি মানুষ হিসেবেও ছিলেন অসাধারন।সদা হাস্যোজ্জ্বল, অমায়িক, বন্ধুবৎসল, নিরহংকারী, শান্তশিষ্ট মানুষ টি গতরাত ১ টার সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। বলছিলাম নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যাপক সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব নুরুল আজিম স্যার এর কথা। হাটহাজারী উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের হাজী আবদুল রশিদ টিন্ডলের বাড়ি নিবাসী
সদালাপী ও সবার প্রিয় এই গুণিজন স্যার আত্মীয়তার দিক থেকে আমার বাবার খালাতো ভাই ছিলেন।তাই প্রায় সময় দেখা হলে আমাদের পরিবারের সবার খোঁজ নিতেন। আমি আমি নোয়াপাড়া কলেজে ভর্তির আগে বাবা আমাকে স্যারের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এইচ এস সি তে সায়েন্সের ছাত্র থাকায় স্যারের ক্লাস করা সৌভাগ্য হয়নি।পরবর্তীতে আমি চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়নকালে স্যার সবসময় আমার লেখাপড়ার খবর রাখতেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ পরিশ্রমী ছিলেন।অসাধারন মানুষ হয়েও চলাফেরা করতেন সাধারনের মতো। নিজেই বাড়ির পাশে পাশে ফসলাদী চাষ করতেন,গরু পালতেন। সব সময় কাজ করার মধ্যে আনন্দ পেতেন। তিনি তিন ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।মৃত্যুকাকে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। নিজের সন্তান দের কে মানুষ করেছেন।তাঁর বড় ছেলে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন। শ্রদ্ধেয় স্যারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয় সবাইকে পরপারে চলে যেতে হবে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি কে মানুষ আজীবন মনে রাখবে। নুরুল আজিম স্যার ছিলেন তেমনই একজন মানুষ। আজ বাদে আসর মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
আল্লাহ আমাদের প্রিয় স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমিন।
লেখক ঃ আহবায়ক, সোশ্যাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজান
সভাপতি, রাউজান সাহিত্য পরিষদ।