জুবাইর চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :
চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে চলছে হা হুতাশ। সমান তালে রেড জোন এলাকায় চলছে জনসমাগম। কোন দিকে যাচ্ছে প্রানের চট্টলা। এই প্রশ্ন আমার না এই প্রশ্ন সারা চট্টগ্রামের।
মহামারী করোনার জন্য বর্তমানে সবচাইতে বিপদজনক এলাকা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশার কারনে সাধারন অন্য রোগের রোগীরাও করোনার আতংকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে। তার মাঝে সরকারের নির্দেশনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চট্টগ্রামের রেড জোন নির্ধারন করা এলাকা গুলোতে চলছে জনসমাগম আড্ডা সহ সবধরনের কাজ। বলতে পারেন এসব না হলে যেন জলে যাবে রাম রাজত্ব।
প্রতিদিন খবরের পাতা খুললেই দেখা যায় অক্সিজেনের অভাব, চিকিৎসা অভাব। মহামারী করোনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে দেশের সিংহভাগ রাজস্ব দেয় যে চট্টলা সে চট্টলার বেহাল দশা কতটা করুন চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সময় এসেছে চিকিৎসা খাত ঢেলে সাজানোর, সময় এসেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবার৷ এখন যদি নতুন করে ভাবা না হয় ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে আমাদের।
চিকিৎসা এ করুন পরিনতি জন্য কোনো ভাবে আমরা একতরফা ডাক্তারদের দায়ী করতে পারিনা। নিজেদের অসচেতনতা কারনা রোগী ভয়াবহ অবস্থা হলে সে দায়ে ডাক্তারকে দোষারোপ করে ডাক্তারের জাত উদ্ধারে আমরা পটু। যদি পারি হুমড়ে পড়ি ডাক্তারের গায়ের উপর, কিন্ত কেন? একজন ডাক্তার কখনো তার রোগী অবনতি চাইনা সে চিন্তা ভাবনা গুলো আমাদের হবে কবে? আমরা নিজেরা কেন পারিনা কিছুটা সচেতন হতে। নিজেদের কিছুটা সচেতনতা সুন্দর ভাবে বাঁচার সুযোগ থাকে আমাদের।
“চিকিৎসা আমার মৌলিক অধিকার” চিকিৎসা ব্যবস্থার এই অবস্থা থাকলে খুব বেশি দেরি হবেনা কথাটা ভুলতে বসতে।
সরকারের সব অর্জন স্লান হচ্ছে এক চিকিৎসা ব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থার কারনে। সচেতন হও প্রানের চট্টলা,চট্টলায় বসবাসরত সর্ব সাধারন মানুষগন, শুদ্ধ করে তুলো চিকিৎসা ব্যবস্থা।
গ্রুপিংয়ে নয়, দলীয় কোন্দল নয়, একসুরে সবাই মিলে আওয়াজ তুলো বাঁচাও চট্টলা, দিয়ে যাও চিকিৎসা। সুস্থ হয়ে বাঁচতে চাই আরো কিছুদিন প্রানের চট্টলায়।