পি আই শিপিং কর্পোরেশন এর মালিকানা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইরিন খানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা
আমার প্রয়াত স্বামীর নাম কাজি ফরহাদ আব্বাস প্রিন্স। বিয়ের পর থেকে সুখ, শান্তি ও সুন্দর গোছালোভাবে সংসার চলে আসছিল।
এই সুখশান্তি চলতে দিলনা কিছু মানুষ রুপি হায়েনা। হঠাৎ আমার সংসারের চলে আসলো কালবৈশাখী। সব সুখ শান্তি কেড়ে নিল কিছু অমানুষ।নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো আমার স্বামী প্রিন্সকে। শুধু হত্যা করে তারা ক্ষান্ত হননি।
যে উদ্দেশ্যে প্রিন্স কে হত্যা করা হয় তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। ব্যবসার শুরু থেকেই তাদের চক্রান্ত।
আমার বিয়ের পর আমার স্বামী প্রিন্স পি আই কর্পোরেশন লাইসেন্স নিয়ে সিএন্ডএফ ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
এই লাইসেন্সের নামও দিয়েছিলাম আমি প্রিন্স নাম হতে পি এবং আমার নাম রেহেনা ফরহাদ (আইরিন খান) আইরিন থেকে আই নিয়া পি আই শিপিং কর্পোরেশন নামকরণ করেছিলাম। লাইসেন্স করার সময় শতভাগ মালিকানা হিসেবে নমিনি করা হয় আমাকে।
সেই হিসেবে আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর এই লাইসেন্স এর মালিক আমি আইরিন খান।
যা ইতিমধ্যে মাননীয় বিজ্ঞ আদালত স্বীকৃতি দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন। যার ডকুমেন্ট আমি চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের অফিসে জমা দিয়েছি।
অপর পক্ষে চক্রান্তকারীরা যে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছে তা সব ভূয়া। যা এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আক্তার সাহেব অবগত আছেন। আমার স্বামীর খুনিরা বরিশালের জনৈক মেহেরুন্নেছা সাথীকে দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে আমার পি আই শিপিং কর্পোরেশন লাইসেন্স কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে করোনার আপদকালীন ২৫ হাজার ও সি এন্ড এফ টাওয়ারের ভাড়া বাবত ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো দেওয়া হয়নি। এই হায়েনারা তা ও বন্ধ করে রেখেছেন। এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী আলতাফ বাচ্চুর সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কারো কথা শুনতে চান না।
বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবগত করেছি। এখন ও চক্রান্তকারীরা আমাকে উল্টো পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। আমার বিষয়টি এনবিআর চেয়ারম্যানসহ আরো অনেককে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু চক্রান্তকারীদের হাত এত শক্তিশালী যে তারা এদের কারো কথা পাত্তা দিচ্ছেন না।
আমার স্বামীকে খুন করার ভিডিও রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি সময় সাপেক্ষে ভিডিও দেশবাসীর কাছে ফ্লাশ করব। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন আছে। এসোসিয়েশনের নিয়ম হচ্ছে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা আমার ছেলে মেয়ের এখনো পাইনি।
এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী আলতাফ বাচ্চুর সহযোগিতায় বরিশালের জনৈক মেহেরুন্নেছা সাথীকে নিয়ে মালিকানা হস্তান্তর করার নোংরা চক্রান্ত করা হচ্ছে। যা আমি বেঁচে থাকতে কোনদিন সফল হতে দিব না। প্রয়োজনে আমি আবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর যাব।
আমি এ বিষয়ে এসোসিয়েশনের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা আমার এতিম ছেলে মেয়ের দিকে থাকিয়ে হলেও এই চক্রান্ত সফল হতে দিবেন না। উপরোক্ত কথাগুলো বললেন পি আই শিপিং কর্পোরেশন শতভাগ নমিনি মালিক বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আ্রইরিন খান।
গতকাল বিকালে প্রতিবেদকের অফিসে স্ব শরীরে হাজির হয়ে আইরিন খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনপ্রিয় কবি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আ্রইরিন খান আরো জানান ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে অংশ গ্রহণ করেছি । সাংবাদিকরা জাতির বিবেক আপনাদের মাধ্যমে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের উচ্চপদস্থ মহলে একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।