
- বাবা দিবসে বন্দর থানার এস আই নাসিরুদ্দিনের একান্ত ভাবনা
ডেক্স নিউজ
বাবা দুই অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু এর মাহাত্ম্য অত্যন্ত ব্যাপক । জন্মদাতা বাবার আদর শাসন -স্নেহ -সোহাগ এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সকলেই । বট বৃক্ষের ছায়ার মতো সন্তান-সন্ততিদের আগলে রাখেন এই বাবা । জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের পর অনেক সন্তানের ভুলে যায় সে জন্মদাতা বাবার কথা । নিজ স্বার্থে এতই মগ্ন থাকে যে সন্তানের একটু সময় হয় না বাবার খোঁজ নেওয়ার । এইসব অসঙ্গতি নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ( সিএমপির) আওতাধীন বন্দর থানার এসআই নাসিরুদ্দিন তার ফেসবুক আইডিতে তুলে ধরেছেন নিজের অভিব্যক্তি । ইতিহাস 71 টিভির পাঠক/ পাঠিকাদের জন্য নিম্নে তা হুবহু তুলে ধরা হলো……….
ফেসবুকে বাবা বাবা করে চিতকার, চেচামেচিতে ফেসবুক ভরে উঠেছে।
আহ আমার ফেসবুক বন্ধুরা বাবার প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়ে যাচ্ছে সত্যিই ভাল লাগছে। পরিবারেও নিশ্চয়ই বাবা এরকম ভালবাসা পাচ্ছে। হোক সেটি কুড়েঘর হোকনা মাল্ট স্টোরিয়েড বিল্ডিং।
জীবিত বাবাদের হায়াত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া করি মরহুম বাবারা যেন পরকালে সর্বোচ্চ সম্মানে থাকে তার জন্যও দোয়া করি, মহান পরোয়ারদেগারের নিকট।
কোন বাবা-মা যেন শেষ বয়সে এসে সন্তানদের খেলার পুতুল নাহয় সে দিকে খেয়াল রাখা হবে সন্তানের কর্তব্য। নিঃস্বঙ্গ জীবনে মৃত্যুর ভয়ে নুয়েপড়া মানুষগুলোর স্থান যেন না হয় বৃদ্ধাশ্রম।বৃদ্ধাশ্রম প্রতিনিয়ত বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা মাত্র। দামি ফ্ল্যাটের বেলকনিতে লাগানো চারা গাছের টবে পানি দিতে পারার মাঝে যে আনন্দ আপনার মননে বিরাজমান তার চেয়েও অনেকটা যত্নশীল হয়ে আপনাকে মানুষ করার কারিগর ছিলেন আপনার বাবা।
এখন দামী গাড়ির এসিতে বসে ঘুরে বেড়ানোর সময় যেমনটা লাগে, তার চেয়ে খুশি লাগতো যখন বাবার কাধের দুপাশে পা ঝুলিয়ে বসে মাইলের পর মাইল সবচেয়ে নিরাপদ সিটে বসিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া জুতা নিয়ে হাটতো। এখন বাবাও নাই আমারও হল গাড়ি। এখন বাবা হয়ে বুঝতে শিখেছি সন্তান কাধে নিয়ে হাটাহাটি করার কৌশল।
একটি কাপড় কিভাবে দিনের পর দিন গায়েপরে থাকা যায় সেই প্রশ্নের জবাব বাবা হয়ে অটোমেটিক খুজে পেয়েছি। বাবাকে হারিয়ে অন্তত এইটুকু সামর্থ হয়েছে যে দুটি রুচি সম্মত পোশাক বাবাকে কিনে দেওয়ার। কিন্তু নাই সে নাই তিনি নাই।
তাই বলি আজকের মত করে প্রতিটি সন্তান যেন বাবা-মাকে প্রতিদিন একবার হলেও খুজ নেয়। কেউ উত্তর দেবে বিয়ে করেছি আমার বউ বাচ্ছা আছে খরচ বেশি, আবার কেউ স্ত্রীকে দোষ দিবে হাবিজাবি।
বিশ্বাস করুন বৃদ্ধ বয়সে তারা কিছুই চাইনা তারা শুধু চাই তাদের সন্তান বাহির থেকে এসে তাদের সাথে একটু বিনয়ের সুরে কথা বলুক। ছেলে বউ বা নাতি-নাতনী হোক তাদের গল্পের সঙ্গী।
পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।