ইতিহাস ৭১ ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশে এবার কোন বই উৎসব না হলেও দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১ জানুয়ারি (শুক্রবার) ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
বই উৎসব উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি জানুয়ারিতে স্বাভাবিক না হলে স্কুল বন্ধ রাখা হবে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্লাস চলবে।
পাঠ্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই বই বিতরণ করার কথা জানান তিনি।যদিও এখন পর্যন্ত স্কুল কলেজ খুলেনি।
প্রতিবছর ১ জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হতো। যে নিয়ম শুরু হয়েছি বাংলাদেশে ২০১০ সালের পর থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে প্রায় এক দশক ধরে চলে আসা এই নিয়মের।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এবারে সমাবেশ করে কোন বই উৎসব হচ্ছে না।একই দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই না দিয়ে সেটা ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর প্রতিটি শ্রেণীর বই বিতরণের জন্য তিন দিন করে সময় দেয়া হবে।
অর্থাৎ ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম- এই চারটি শ্রেণীতে সপ্তাহে তিন দিন করে মোট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। একেকটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তিন দিনে ভাগে ভাগে এসে বইগুলো নিয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বলে দেয়া হবে যে কোনদিন কারা এসে বই সংগ্রহ করবে।
এছাড়া প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তাদের অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, “প্রত্যেক ক্লাসের জন্য তিন দিন বরাদ্দ থাকবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তিনটা গ্রুপে ভাগ করে দিবে। একেকটি গ্রুপ একেক দিনে স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে।
তবে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসবে না। তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে। এতে জনসমাগম হবে না। বই বিতরণের পুরো প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হবে।”
এ বছর বিনামূল্যে প্রায় চার কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থীদের মোট সাড়ে ৩৪ কোটি বই দেয়া হবে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার বই দেয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রায় ৯ হাজার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হবে।