সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রেয়াজউদ্দিন বাজারে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে সুজন

মোহাম্মদ জুবাইর
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে জীবন ও জীবিকার চাকাকে গতিশীল রাখার পর শীত মৌসুমে দ্বিতীয় ধাক্কার আভাষ দিয়ে তা মোকাবেলায় যে নির্দেশনা দিয়েছেন এখন থেকেই তার বাস্তবায়ন শুরু করতে পারলেই একাত্তরের মতই যুদ্ধ বিজয়ী হবো। তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধ অস্ত্র দিয়ে নয়, জনসচেতনতা ও আত্ম সুরক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করে প্রাত্যহিক জীবন-যাপনে প্রয়োগ করা এবং স্বাস্থবিধি মেনে চলা, অপ্রয়োজনীয় লোক সমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একে অপরকে উদ্বুর্দ্ধ করতে হবে। তিনি ২ নভেম্বর ২০২০ইং সকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা গুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে উন্নত দেশগুলোরও কোন আগাম ধারণা ও প্রস্তুতি ছিলো না। তাই ঐ দেশগুলোতে করোনার ছোবলে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছিলো। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হলেও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছুটা ধাক্কা লাগলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা সামাল দিতে শূন্য থেকে একাত্তরের যুদ্ধ শুরু করে রণাঙ্গনের মতই জরুরী প্রতিরোধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। একাত্তরের মতই যার যা কিছু আছে তা নিয়ে মনোবলকে সম্বল করে ডাক্তার, স্বাস্থকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী শ্রেণির নেতা-কর্মীরা সম্মুখ যুদ্ধের প্রতিরোধ ব্যরিকেড তৈরী করায় বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।তিনি এর অংশ হিসেবে প্রত্যেককে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাক্স ব্যবহার, নিয়মিত হাত দোয়া, বাসস্থান, রাস্তাঘাট, জনচলাচলের পথ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে চলা ও অপরকে চলতে উদ্বুর্দ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানদার, কর্মচারীদের কঠোর ভাবে
স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে লোক চলাচলের পথ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহŸান জানান। তিনি দোকানের সামনে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে তাদেরকে দেয়া ব্যাগে তা জমা করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে বলেন এবং সেখান থেকে ঐসব আবর্জনা চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সরিয়ে নেবে বলে উল্লেখ করেন। এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, লায়ন ডা. আর.কে. রুবেল, প্রফেসর জিবোধি ভিক্ষু, সজল চৌধুরী, মনির আহাদ, মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এস এম জাভেদ হোসেন, রাজনীতিক আবদুস সালাম মাসুম, আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন, সমাজসেবক সালেহ আহমদ সোলেমান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ চসিক প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Chat conversation end
Type a message…

No file chosen
No file chosen

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype