ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক : পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সকলকে আপডেটেড হতে হবে। উদ্ভাবনী কৌশল আত্মস্থকরণের মাধ্যমে সকলকে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। সকল নাগরিককে স্মার্ট লিডার হিসেবে গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য, বলেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট লিডারশিপ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম, মাহবুব আরা বেগম গিনি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সকলের কাছে নিয়ে আসেন। ২০২১ সালের অনেক আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। আগামীতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ ও বিশ্বায়নে যুগে সমগ্র বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি নানাভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। সমগ্র বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছ তথ্য প্রযুক্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বিদ্যমান।আমাদের দক্ষ লিডার হিসেবে প্রযুক্তি আত্মস্থ ও দক্ষ হতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় স্মার্ট লিডারশিপ তৈরির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য। স্মার্ট নাগরিকের অন্যতম স্তম্ভ। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে ‘স্মার্ট পার্লামেন্ট’ হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান।
স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি থেকে সকলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজস্ব দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। সংসদ সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে যা প্রশংসনীয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অনুষঙ্গ হিসেবে এই কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে।
ই৭১জে