
মোহাম্মদ অলিউল্লাহ
উম্মুল মাদারিস আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী চট্টগ্রাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত আল্লামা শাহ আহমাদ শফি সাহেব দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন,
তবে উনার ১০০এর অধিক বয়স হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে কঠিন অসুস্থতার মধ্যে বার বার পড়ে যাচ্ছেন,
এমতাবস্থায় উপমহাদেশের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান মঈনুল ইসলাম হাটহাজারি মাদ্রাসার পরিচালনায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং হাটহাজারী মাদ্রাসা একটি জাতীয় কওমী হেড বলেও বিবেচিত হয়ে আসছে কওমিয়াঙ্গনের সকলের নিকট, তবে কওমিদের ভেতরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকায় অনেক সময়েই অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফতে মজলিস, খেলাফতে আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে ওলামা সহ আরো কিছু রাজনৈতিক দল কওমী অঙ্গনে বিদ্যমান রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ! শতবর্ষী প্রবীণ আলেম আল্লামা আহমদ শফী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে কারো নাম ঘোষণা করবেন করবেন বলে এমন একটি গুঞ্জন শুরু হয়েছিলো যোগাযোগ মাধ্যম বিভিন্ন সাইটে, এবং এরমধ্যে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরি সহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের নাম বিভিন্ন ধারায় মন্তব্য দিয়ে অনেকে স্ট্যাটাসও অব্যাহত রেখেছিলেন।
তবে যদিও এবিষয়ে অসুস্থ আহমদ শফী এক ভিডিও বার্তা দিয়ে সোজাসুজি সতর্ক করে দিয়েছিলেন গুজব না ছড়ানোর জন্য।
এমন প্রেক্ষাপটে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে
মজলিসে শুরার বৈঠক (১৭ জুন) বুধবার সকাল ১০ টায় মাদরাসা মিলনায়তনে আয়োজন করে বহু আলোচনা করা হয়, একপর্যায়ে আলোচনা সম্পন্ন করে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অপরিবর্তিত রেখে মঈনি মুহতামিম থেকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরিকে অব্যহতি দিয়ে নতুন মঈনি মুহতামিম করা হয়েছে মাওলানা শেখ আহমাদকে
মজলিসে শূরার বৈঠক থেকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসাবে শাহ আহমাদ শফি তিনার নামই বহাল রাখা হয়।
জানা গেছে, এবারের বৈঠকটি ২০১৭ সালের পর এই প্রথম ১৭ই জুন আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সে হিসেবে প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নাম আসছিলে বারবার,এনং সাবেক মুহতামিম মাওলানা আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আহমদ দীদার কাসেমীসহ আরও দুয়েকজনের নামও প্রস্তাবনায় আসছিলো।
তবে সর্বশেষ প্রবীণ আলেম মাওলানা শেখ আহমদের নাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহ পরিচালক হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা সদস্যের কয়েকজন ইতিপূর্বে মৃত্যুবরণ করেছে। এরমধ্যে একজন শয্যাশায়ী হওয়ায় তার উপস্থিতি অনিশ্চিত হলেও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতি অনেকটাই ছিলো।
মজলিসে শূরার উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন- ঢাকার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, নায়েবে মুহতামিম মুফতি নুরুল আমিন, ঢাকার খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জী, ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী ও হাটহাজারীর ফতেপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী সহ এদের মধ্যে অনেকেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন