নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। গাছপালা ও বনভূমি যেমনিভাবে আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে ঠিক তেমনিভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে।২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০খ্রিঃ বিকেলে কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীকে বিশেষ অর্থবহ করে তুলতে সকলকে উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করাই এই বৃ¶রোপণ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের আয়তনের এক-চতুর্থাংশ বনাঞ্চল থাকা জরুরি। আমাদের রয়েছে মাত্র ১২-১৫ শতাংশ বনভূমি। বর্তমান বাস্তবতায় এর পরিমাণও কমছে। এ কারণে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের নিত্যসঙ্গী। এখনই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাবা দরকার। তা না হলে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যেতে পারে, যা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য বিশাল হুমকি স্বরুপ। মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১ কোটি গাছ লাগানোর কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় তিলোত্তমা চট্টগ্রাম ও পরিবেশ রক্ষায় চসিকের ৫ লাখ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠন “তিলোত্তমা”কে ইতোমধ্যে চসিকের পক্ষ থেকে ১০ হাজার বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ওষুধী চারাগাছ রোপনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। তিনি তিলোত্তমার সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, নগরীর যেখানে খোলা, পরিত্যক্ত বা গাছ লাগানোর উপযোগী জায়গা রয়েছে সেখানেই আপনারা গাছ লাগান। এতে যে কোন প্রকার সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, এদেশের ভারি জনসংখ্যার তুলনায় বনভূমি খুবই কম। তাই দিন দিন কমে যাচ্ছে বনভূমির আয়তন। নগরায়ন ও শহরায়নের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলেও ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। বিলুপ্ত হচ্ছে জীবজন্ত ও বন্যপ্রাণী। এতে হুমকির মুখে পড়ছে দেশ ও দেশের মানুষ। তাই এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি কার্যকর উদ্যোগ । এসময় চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, স্কুল ও কলেজ দাতা সদস্য সুলতানুল আবেদীন চৌধুরী, নওশাদ চৌধুরী বাবলা, আলী ইস্কান্দর, তিলোত্তমার সত্বাধিকারী সাহেলা আবেদীন, উপদেষ্টা আবু সাঈদ সেলিম, মো. হারুন বোরহান, শুভা নাজ জিনিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী,কৃষি অধিদপ্তরের সুবাস দত্ত, লায়ন হুমায়ুন কবির, কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশিষ বরণ সরকার, প্রভাষক শিপল দত্ত, শিক্ষক ওসমানগণি, বিশ্বজিত পারিয়াল, মিসেস নীলিমা দেব রায় উপস্থিত ছিলেন।