সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কোতোয়ালী থেকে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত ক্যারাভান কর্মসূচিতে খোরশেদ আলম সুজন

 জুবাইর চট্টগ্রাম
“ক্যারাভানে জনতার জাগরণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় অংকের মেগা প্রকল্প সমূহে অর্থের যোগান দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের চিত্র পাল্টে যাবে, চট্টগ্রাম হবে প্রাচ্যের রাণী। চট্টগ্রামের উন্নয়নে সকল সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারলেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের চট্টগ্রামে রূপ লাভ করবে এ নগরী। তাই সেবা সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই। আজ বুধবার অপরাহ্নে চসিকের প্রকৌশল, পরিচ্ছন্ন ও বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে নগর সেবায় ক্যারাভান কার্যক্রমের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে কোতোয়ালী মোড় থেকে আশারাফ আলী রোড হয়ে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত যাত্রাকালে বিভিন্ন স্থানে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথাগুলো বলেছেন। তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি-অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও যথেচ্ছতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় স্বার্থান্বেষী মহলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আমি সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবো। আমি যখন রাস্তায় নেমেছি কিছুতেই থামবার পাত্র নই। তবে আমি একজন রাজপথের রাজনীতিক হিসেবে গঠনমূলক সমালোচনাকে স্যালুট করি। আমি নগরবাসীকে সাথে নিয়ে একটি মানবিক এবং বাসযোগ্য নগরী গড়ার লড়াইয়ে নেমেছি। আমি হকারদের জন্য টাইমফ্রেম ও নিয়ম-নীতি ঠিক করে দিয়েছি। যাতে হকারও থাকে আর নগরবাসীও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। হকার নেতারা এসব মেনে চলবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছেন। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, যারা রাস্তা দখল করে নিয়ম-নীতি না মেনে দোকান-পাঠ বসিয়েছেন তাদের কাছ থেকে কোন কেনা-কাটা করবেন না। তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করুন। ক্যারাভান কার্যক্রম পরিচালনার সময় প্রশাসক স্থানীয় জনসাধারণের কাছে সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা জানতে চান। এ সময় এলাকাবাসী বিভিন্ন জায়গায় তাদের সমস্যার কথা অবলীলায় প্রশাসকের নিকট তুলে ধরেন। প্রশাসক আশরাফ আলী রোড সংলগ্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে নির্মাণাধীন ব্রীজের কারণে খালের মধ্যে বাঁধ দেয়ায় সাময়িক যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার জন্য এলাকাবাসীকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান। তিনি বলেন, অনেক সময় বৃহৎ স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। ব্রীজের কাজ শেষ হলে এই দুর্ভোগ আর থাকবে না। তাছাড়া পাথরঘাটাস্থ মিরিন্ডা মেইন রোডে অবস্থিত ড্রেনে স্ল্যাব ভেঙ্গে যে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে তাতে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বিধায় আগামীকাল দুপুর ১২ টার মধ্যে নতুন স্ল্যাব স্থাপনে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রশাসক। যাত্রাপথে তিনি ব্রিকফিল্ড রোড ও আশরাফ আলী রোডের অকেজো সড়ক বাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন সড়ক বাতি লাগানোর জন্য চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। চলতি পথে প্রশাসক ময়লার স্তুপ, ভাঙ্গাচোড়া রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন এবং এলাকাবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানান। ক্যারাভান কার্যক্রম পরিচালনার সময় উক্ত এলাকায় বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন মোড়ে মেড়ে শতশত নগরবাসী প্রশাসককে স্বাগত জানান। ক্যারাভানে জনতার জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার বিষয়ে প্রশাসককে অবগত করলে প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছেন। কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। প্রশাসক কর্ণফুলী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টিকারী অলস গাড়ি পাকিং দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এছাড়া স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আবু মুসা চৌধুরীর মৃত্যুতে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রশাসক দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। ক্যারাভান কার্যক্রমে প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, রাজনীতিক পুলক খাস্তগীর, মো. মোরশেদ আলম, মো. সোলায়মান সুমন, মো. সাইফুদ্দীন, দিদারুল আলম, আবুল কালাম আবু, মোজাম্মেল হক, শফিউল আলম, মনিুরুল হক মুন্না, নোমান সাঈফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype