শুক্রবার-১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া “মানবিক উপহার”

উৎফল বড়ুয়া, সিলেট প্রতিনিধি
শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বৈশ্বিক মহামারী কোভিট-১৯ এর চলমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে ধম্মকথা বৌদ্ধ অনলাইন মুখপত্র উদ্যোগে “চট্টগ্রাম থেকে সিলেট” “মানবিক উপহার” নিয়ে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ বাঙালি মূলনিবাসী ইউনিয়ন’র সভাপতি, এক মুঠো বৌদ্ধ তরুন’র প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক, বিশিষ্ট দান শীল ব্যক্তিত্ব, প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া। আজ ৪ জুলাই রোজ শনিবার আষাঢ়ী পূর্ণিমার এই শুভ দিনে সিলেট আখালিয়া নতুন বাজারস্থ বৌদ্ধ বিহারে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ৪৫ পরিবারকে মানবতার উপহার বিতরণ করা হয়।
এসময় মানবতার উপহার বিতরণ করেন, সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ধম্মকথা অনলাইন বৌদ্ধ মুখপত্রর সম্পাদক উৎফল বড়ুয়া, সিলেট বৌদ্ধ বিহারে ভদন্ত আনন্দ ভিক্ষু ,সিলেট বৌদ্ধ সমিতির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রানা বড়–য়া, সমিতির কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা সরোজ বড়য়া,
বৌদ্ধদের জন্য আষাঢ়ী পূর্নিমা অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। এই পূর্নিমা তিথি তথাগত বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বহন করে বলে বৌদ্ধদের জন্য এটি অতি স্মরনীয় দিন। তাই বৌদ্ধদের কাছে এ পূর্নিমা আসে জীবনের পূর্ণতা সাধনের জন্য। এ পূর্নিমায় বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
.প্রতিসন্ধি গ্রহণ: দেবরাজগনের প্রার্থনায় নির্বানের আলোতে অজ্ঞান অন্ধকার দূরীভূত করার জন্য বোধিসত্ত্ব মায়াদেবীর জঠরে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে।
সংসারত্যাগ:চারি নিমিত্ত দর্শনের পর সকল দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য, সত্য অন্বেষণে রাজ সিংহাসন,পিতা-মাতা, স্ত্রী – পুত্র সংসার ত্যাগ করেন এই পবিত্র পূর্ণিমাতে।
নির্বাণ পথ প্রদর্শন: বুদ্ধত্ব লাভের পর সারনাথে পঞ্চ বর্গীয় শিষ্য এবং অগনিত ব্রক্ষ্ম-দেবতাকে ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্রে মাধ্যমে সর্বপ্রথম নির্বানধর্ম, মুক্তির ধর্ম, সত্য ধর্ম দেশনা করেন।
মনুষ্য, দেব, ব্রক্ষার ধর্মচক্ষু লাভ: বুদ্ধের বানী শ্রবনে ১৮ কোটি দেব -ব্রক্ষা এবং কোন্ডঞ্ঞ ধর্মচক্ষু লাভ করেন আষাঢ়ী পূর্ণিমাতে।
যমক ঋদ্ধি প্রদর্শন: শ্রাবস্তীর নগরে গন্ডম্ব বৃক্ষমূলে প্রতিহার্য ঋদ্ধি প্রদর্শন করেন এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে।
মাতৃ দেবীকে রক্ষা করার জন্য স্বর্গে গমন:সপ্তম বর্ষাবাসে মাতা মহামায়াদেবীকে ধর্মদেশনা করার জন্য তাবতিংস স্বর্গে গমন করেন এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা দিবসে।
বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান:ভিক্ষু সংঘের তিন মাসের বর্ষাবাস শুরু এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা দিবসে।
এই আষাঢ়ী পূর্ণিমার মাহাত্ম্য ব্যাপক কারণ এই পূন্যময় তিথিতে তথাগত বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী ওতপ্রতভাবে জড়িত। আসুন এই তাৎপর্যময় স্মৃতি বিজড়িত পূন্যময় তিথিকে স্মরণ করে আগামী ৩মাস দানময়, শীলময়, ভাবনাময় জীবনের জন্য অধিষ্ঠান করি। এই আত্মসংযম যেন আমাদের নির্বাণ লাভের হেতু হোক, জগতের সকল প্রাণী সুখি হউক এই কামনা রইল। সবাইকে সিলেট বৌদ্ধ সমিতির পক্ষ থেকে শুভ আষাঢ়ী পূর্নিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা জানানো হয় ।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype