
রাউজান (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকার সবকিছু ‘আলেম বিল্লাহ্ ওয়া বিআমরিল্লাহ্’ দ্বারা স্বীকৃত। এ ত্বরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ‘আদিল’ বিধায় এ ত্বরিকার চর্চাকারীদেরকে সবক্ষেত্রে ইনসাফ করতে হবে। ত্বরিকত চর্চায় উপযুক্ত ভাবগাম্ভীর্যতা নিশ্চিত করতে হবে, সবার উপর ইনসাফ করতে হবে। কোথাও বাড়াবাড়ি-সীমালঙ্ঘন করে ফেললে নিজ দোষ ধ্যান করে সেটা সংশোধন করে নিতে হবে। বেলায়তে মোত্লাকা কিতাবকে ঘনিষ্ঠভাবে বুঝে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর বিশ্বজনীন এ দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে নিতে হবে এবং তা বিশ্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে।গতকাল রাতে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর ৩৪তম ওরশ শরীফ মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘দরবার-ই গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র উরস উপলক্ষে গাউসিয়া হক মঞ্জিলে আয়োজিত কেন্দ্রীয় আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলে গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দীন,মাদরাসা-ই-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীর আরবি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ মুজিবুল হক, রাউজান বায়তুন্ নূর জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মাইজভাণ্ডারী, উম্মুল আশেকীন মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফযখানা’র প্রধান হাফেজ মোহাম্মদ আবুল কালাম,চরণদ্বীপ দরবার শরিফের শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ ফারুকী চরণদ্বীপি,চ.বি আরবি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্, গোমদন্ডী দরবারের শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী।মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা এস এম এম সেলিম উল্লাহ্। আখেরি মোনাজাতে হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী দেশ-জাতি ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা করেন এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ববাসীর জন্য মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের অফুরন্ত রহমত কামনা করেন।মোনাজাত শেষে আগত ভক্ত মুরিদ, আশেকদের তবরুক দেওয়া হয়।