
ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরনো জব্বারের বলীখেলার ১১৩তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার তারিকুল ইসলাম জীবন বলী। জীবন তিন পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এর আগে ১০৯তম আসরেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।
২৫ এপ্রিল(সোমবার ) বিকেলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হোমনার শাহাজালাল বলীকে হারিয়ে জয়ী হন জীবন বলী। প্রায় ৩০ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জীবন তিন পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। লালদিঘীর পাড়ের অস্থায়ী বালুর মঞ্চে লড়েছেন ৭২ জন বলী। শাহজালালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি জীবন বলী।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জীবন বলী বলেন, আমি খুবই খুশি এবং ভালো লাগছে। স্বপ্ন ছিল জয় হব। অবশেষে জয় হতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। জব্বারের এই বলী খেলায় এবার প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল (চ্যালেঞ্জিং বাউট), সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে (চ্যাম্পিয়ন বাউট) মোট ৭২ জন বলী অংশ নেন। বলীখেলার প্রথম সেমিফাইনাল মোকাবিলা করেন তরিকুল ইসলাম জীবন ও মমিন বলী।
এতে জীবন বলী জয় পেয়ে ফাইনালে ওঠেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সৃজন চাকমা ও শাহাজালাল বলী মোকাবেলা করেন। এতে জয় পেয়ে শাহাজালাল বলী ফাইনালে ওঠেন। চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকায় আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। ১৩১৬ বাংলা ১২ বৈশাখ (১৯০৯) সালে
প্রথম এই বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, বলীখেলা পরিচালনা করেন সাবেক কমিশনার আবদুল মালেকসহ চারজন। এবারের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও ট্রফি। রানারআপকে দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১০তম বলী খেলার আসর পর্যন্ত নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর বলি খেলা ও মেলা স্থগিত করা হয়।
বলী খেলা ঘিরে কয়েকদিন ধরে উৎসবমুখর হয়ে উঠে লালদীঘি চত্বর আর মেলার প্রচলন চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়।