রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

‘সাংবাদিকতা পেশা একটি বিচিত্র জগৎ যা আমার জীবনবোধকে পাল্টে দিয়েছে’-সমীর কান্তি বড়ুয়া

সাংবাদিকতা পেশায় আসার পূর্ব থেকে প্রচুর পত্রিকা পাঠ করতাম ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র হওয়ায় আমার কাছে পেশাটি বেশ যুগোপযোগি মনে হয়েছে। সত্যিকারের সাংবাদিক হতে গেলে তাকে বহুমুখী পাঠে অভ্যস্থ হতে হবে। এটি একটি বিচিত্র জগৎ যা আমার জীবনবোধকে পাল্টে দিয়েছে। এখানে সময় ও জ্ঞানের কোনো পরিসীমা নেই।

২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট আর্ট গ্যালারি হলে সীবলী জীবনজয়ী আড্ডায় মূখ্য অতিথি দেশের প্রধান জাতীয় সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ইংরেজি বিভাগের প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া উপস্থিত তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো ব্যক্ত করেন।

জীবনজয়ী আড্ডার উদ্যোক্তা পরিচালক সাংবাদিক বিপ্লব বড়ুয়া’র গ্রন্থনা ও সঞ্চালনায় সমীর কান্তি বড়ুয়া আরো বলেন- আড্ডা হচ্ছে আনন্দ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। শিক্ষা ও গবেষণা কর্মেও আড্ডার বিকল্প নেই। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে দারিদ্রতার মাঝে তাঁর বেড়ে ওঠা জীবনের গল্প, আনন্দ-বেদনার নানা কথা অকপটে প্রকাশ করেন। । শৈশব মানে মা-বাবার আদর মাখা স্মৃতি, এস্মৃতি কখনো অন্তর থেকে মুছা যায় না। শৈশবের স্মৃতি ধারণ করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে। তিনি প্রজন্মদের রাজনীতি সচেতন জ্ঞানের নানা শাখা প্রশাকায় বিচরণের আহ্বান জানান। চট্টগ্রামের প্রাচীনতম সংগঠন সীবলী সংসদের সভাপতি বিকাশ কান্তি বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন- আড্ডার পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট দানশীল ও সুজনশীল ব্যক্তিত্ব, পুলিশ কর্মকর্তা সুদুল কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন- তরুনদের মেধা বিকাশে এরকম আয়োজন যতবেশি করা যায় ততবেশি সাংস্কৃতিক জাগরণ হবে, এমন একটি সুন্দর কাজে যুক্ত করার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।

স্বাগত বক্তব্য দেন- সীবলী সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সংগঠক তরুণ কান্তি বড়ুয়া ও সিনিয়র সহসভাপতি রনেশ চৌধুরূী নন্তু, শাওন বড়ুয়া প্রমূখ। সীবলী সংসদ ও সীবলী জীবনজয়ী আড্ডার পক্ষ থেকে আড্ডার মূখ্য অতিথি সাংবাদিক সমীর কান্তি বড়ুয়া এবং সৃজনশীলতায় বিশেষ অবদান রাখায় সুদুল কান্তি বড়ুয়া’কে সীবলী জীবনজয়ী বন্ধু সম্মাননায় অভিষিক্ত করা হয়। বিভিন্ন পেশায় খ্যাতিমান হয়েছেন এরকম বরেণ্য ব্যক্তিরা আড্ডায় মূখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাদের যাপিত জীবনের সফলতা –ব্যর্থতার কথাকাহিনী তুলে ধরেন নিজেরাই। যা নবপ্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। সাংবাদিক সমীর কান্তি বড়ুয়া ছিলেন আড্ডার ২য় পর্বের অতিথি।

আড্ডায় আবৃত্তি করেন ছড়াকার রাসু বড়ুয়া, ইন্দ্রজিৎ তালুকদার সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বিজন মুৎসুদ্দী, পল্লবী বড়ুয়া, পান্না বড়ুয়া, তৃনা চৌধুরী, রুপসী বড়ুয়া, অর্থি দাশ, অদ্রী দাশ তবলায় ছিলেন স্বপন দাশ অপু। শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থি তৃনা বড়ুয়া চৌধুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ১মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। আড্ডার মূখ্য অতিথি আরো বলেন, আজকের আয়োজন প্রজন্মদের মধ্যে মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে অনন্যমাত্রা বহন করবে। আড্ডাও একটা সংস্কৃতির অংশ। এজাতীয় আড্ডা যতবেশি করা হবে সমাজ-দেশ-পরিবার উন্নত হবে। তিনি আড্ডাকে চলমান রাখার জন্য মতামত পেশ করেন এবং ব্যতিক্রমি আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের ভুয়শী প্রশংসা করেন। এ আয়োজনটি ইতিমধ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। আড্ডায় অনুভূতি পকাশ করেন প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বিকাশ কুমার চৌধুরী, বিপুল বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, শ্যামল চৌধুরী, বিজয় বড়ুয়া প্রমূখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype