রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে রাউজানের বিমল বড়ুয়ার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির আকুতি

জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ও নবপরিণীতাকে ফেলে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। মা-বাবাকে না বলেই সহপাঠী বন্ধুদের সাথে দেশ পাড়ি দিয়েছিলাম। দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলো। পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাঙালি জাতি লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনল। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পার হলেও প্রবাসে থাকার কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারিনি। এখন মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপনীত। শেষ বয়সে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই না, চাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি। কথাগুলো বললেন রাউজান উপজেলার হোয়ারাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কান্তি বড়ুয়া।
২৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় নগরীর আসকারদিঘীর পাড়স্থ রানাভবনের মেয়ের বাসায় অসুস্থ শরীর নিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কান্তি বড়ুয়া জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, প্রবাসে থাকার কারণে এবং প্রবাস থেকে মাঝে মাঝে ফিরলেও নানা কারণে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হতে পারিনি। এখন আমি ক্যান্সার আক্রান্ত, মৃত্যু পথযাত্রী। চার কন্যাসন্তান নিয়ে জীবন অতিবাহিত করলেও এখন আমি মেয়ের ঘরেই আশ্রিত। আমি শেষ বয়সে এসে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা নিয়ে সম্মানের সাথে মরতে চাই।
বিমল কান্তি বড়ুয়া আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ হিসেবে আমার এই আকুল আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিলেই আমি মরেও আমার আত্মা শান্তি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমল কান্তি বড়ুয়ার সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা পবন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার যীশু কুমার বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার বড়ুয়া, বিমল কান্তি বড়ুয়ার ছোটবোন রেখা বড়ুয়া, ছোটমেয়ে টুম্পা বড়ুয়া, মেয়ের জামাতা ওয়াশিংটন বড়ুয়া প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype