শুক্রবার-১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষতিকর নকল সুরক্ষা সামগ্রী তৈরী ও বাজারজাতকরণের দায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

ক্ষতিকর নকল সুরক্ষা সামগ্রী তৈরী ও বাজারজাতকরণের দায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

নিউজ ডেস্কঃ

নগরীর দেওয়ান হাট এলাকার মধ্যম সুপারিওয়ালা পাড়ার এ আর চট্টলা কেমিকেল নামের এক কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিকর নকল সুরক্ষা সামগ্রী তৈরী ও বাজারজাতকরণের দায়ে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিকর নকল ও ভেজাল দ্রব্য জব্দ ও কারখানা সিলগালা করা হয় এবং ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।আজ সোমবার ২৯ জুন দুপুর ১২ ঘটিকা হতে ৪ ঘটিকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়৷ অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এ.আর চট্টলা ক্যামিকেল নামের কারখানায় সরেজমিনে দেখা যায় বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বানাতে ক্ষতিকর ক্যামিকেল প্রায় শ’খানেক ড্রামে রিজার্ভ করে রাখা । রিজার্ভকৃত ড্রাম থেকে কারখানার মালিক মোঃ রাশেদ নিজে হাতে ক্যামিস্ট ও ল্যাব ছাড়া এগুলো মিশ্রণ করে বোতলজাত করে মোড়কের মাধ্যমে তার কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলায় বাজারকাত করে।এ ধরনের অপরাধের আমলে নিয়ে এ আর চট্টলা ক্যমিকেলের মালিক মোঃ রাশেদ কে ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড ও নগদ ৫০,০০০( পঞ্চাশ হাজার)টাকা অর্থদণ্ডসহ উভয় দন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক জানান এ.আর চট্টলা কেমিক্যাল নামেক প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ড এর হ্যাক্সিসল নকল করে বানাচ্ছিলো।আমরা প্রতিষ্ঠানটির খোঁজ করি কিন্তু তাদের সাইনবোর্ড ও ঠিকানা না থাকায় অবস্থান জানতে কিছুটা বেগ পেতে হয়।ছদ্মবেশে এলাকার মানুষের কাছে খোজ নিয়ে জানা যায় বাজারে সয়লাব করা নকল হ্যন্ড সানিটাইজারের মূল কারখানার ঠিকানা।নেই কোন সাইনবোর্ড। গলির ভিতর বড় একটি টিনশেডের বদ্ধঘরে সকল প্রকার মালামাল একত্রে রেখে নিজেদের তৈরী স্যানিটাইজার, স্যাভলন, হারপিক সহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী বোতলজাত করে বাজারজাত করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে রিয়াজউদ্দিন বাজারে ও হাজারী লেইনে অভিযানে এ প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিকর ও নকল সুরক্ষা সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করেছিলাম।এসব ক্ষতিকর ও নকল সুরক্ষা সামগ্রী মানুষের উপকারে না এসে বরং মারাত্মক ক্ষতিকর যা মানুষের ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের লাভে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।যার ফলে তাদের আইনের আওতায় নিতে আমরা তৎপর আছি।ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, নকল হ্যান্ডরাব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার,স্যাভলন ও হারপিক তৈরী করা হচ্ছিল।এগুলোর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন নেই।কোন ধরনের ল্যাব টেস্ট করার ব্যবস্থা নেই।খালি বোতল, লেবেল কার্টুন নিজেরা বাজার থেকে কিনে রং,ফ্লেভার, স্পিরিট ইত্যাদি মিশ্রিত করে নামীদামী কোম্পানির মতো হুবহু নকল করে আসছিলো যা খুবই ক্ষতিকর।জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype