
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে রক্ষা করতে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম প্রাচ্যের রাণীখ্যাত হলেও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আজ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমের ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে। নদী ভরাট, পাহাড় কাটা, নদী দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, পলিথিনের অবাধ ব্যবহার, শিল্প বর্জ্য নির্গমনসহ নানা পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমের ফলে চট্টগ্রাম নগরী বিপর্যয়ের মুখে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে চট্টগ্রাম নগরী আজ বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগ ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আজ ৫ জুন শনিবার বিকাল ৫টায় নগরীর মোমিন রোডস্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুগলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও তারুণ্যের আইকন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। মুখ্য আলোচক ছিলেন ওমরগণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক, অধ্যাপক ববি বড়য়া। এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ এর সভাপতি মো: মাঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব লেখক মো. কামাল উদ্দিন, ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, চসিক কর কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও কবি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. হাসান মুরাদ। বক্তারা বলেন, পরিবেশকে বিপন্ন করে কোন উন্নয়নই ফলপ্রসু হবেনা। উন্নয়ন কর্মকা-ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন না হলে উন্নয়ন কখনো টেকসই হবেনা। টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, নদী-খাল-জলাশয়-পুকুর ভরাট ও দূষণ অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষণ, মেডিকেল বর্জ্য, অবাধ পলিথিনের ব্যবহার ও গৃহস্থলি বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনার কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকীর মুখে। বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব চট্টগ্রাম গড়তে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে মানববসতীর অস্থিত্ব রক্ষার স্বার্থেই। এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মো. মাসুদ রানার স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাজেদা বেগম সাজু, হাজী মো. ইউনুচ, এম.এ. হাসেম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক সুমন দত্ত, প্রচার সম্পাদক মো. আইয়ুব, উপ-প্রচার সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ আরকান, ক্রীড়া সম্পাদক বায়েজীদ ফরায়েজী, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবু কুমার শীল, পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস জোনাকী, শিশু বিষয়ক সম্পাদক সীমা আক্তার, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক সাথী কামাল, চট্টগ্রাম নাগরীক ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব মো. আকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান, নাগরীক ফোরাম নেতা লাভলী ডিউ, সাংবাদিক সি.আর. বিধান বড়য়া, জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. হোসেন, নিভৃতি নাথ, চট্টগ্রাম মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কালিম শেখ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সবিতা রানী বিশ্বাস, কবি আসিফ ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. লিয়াকত হোসেন, রত্না আক্তার প্রমুখ।