সোমবার-২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর তিন দফা পরামর্শ সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : পি৪জি শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কর্মমুখী পদ্ধতির আহ্বান।

তিনি বলেন, এজন্য সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করা উচিত। আগামী প্রজন্মের সবুজ ভবিষ্যতের জন্য তিনি তিন দফা পরামর্শ দেন।

৩০ মে (রবিবার) দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের সিউল-টি’ইউকপিওলসিতে দু’দিনব্যাপী ‘গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড গ্লোবাল গোলস পি ফর জি সামিটের দ্বিতীয় পর্বের লিডার্স সেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারণকৃত ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

সদস্য রাষ্ট্রের ৬০ নেতা এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে ‘পি৪জি সিউল’ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘কার্বন নিরপেক্ষতার দিকে অন্তর্ভূক্তিমূলক সবুজ পুনরুদ্ধার।’

সবুজতর ভবিষ্যতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় করতে কর্মমুখী আবেদনের ভিত্তিতে আরও প্রচারণা চালানো দরকার।

সবুজ প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বের লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনের পাশাপাশি পুরো-সমাজ-পদ্ধতির আবেদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ-এর চেয়ারম্যান এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর এডাপটেশনের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের আয়োজক হিসাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মূল দৃষ্টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থকে সমুন্নত রাখা এবং স্থানীয় প্রশমন পদ্ধতিকে উৎসাহিত করা।

পি৪জি-এর কাজের ক্ষেত্রে পানি বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ উলে­খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে আমরা একটি ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

এতে পানির দক্ষ ব্যবহার ও সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে নিজেদের সম্পদ দিয়ে জয়বায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।

প্রতি বছর আমরা জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পি৪জি এর সদস্য হিসাবে কম কার্বন নিঃসরণের পথ অনুসরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জাতীয় সোলার এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-২০৪১-এর আওতায় ৪০ গিগা ওয়াট পর্যন্ত নবায়ণযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তৈরী পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ সার্বিক ঘুর্ণায়মান অর্থনীতির অংশ হিসাবে যথাযথ ঘুর্ণায়মান ফ্যাশন এবং বস্ত্রের সন্ধান করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সবুজ পুনরুদ্ধার এবং সবুজ বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও ভালো করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype