শনিবার-২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ-৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পাকিস্তানের রেকর্ড জয়ে বাবরের সেঞ্চুরি

পাকিস্তানের তরুণ অধিনায়ক বাবর আজম অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনেকটা একাই হারিয়ে দিলেন। বিরাট কোহলিকে সিংহাসনচ্যুত করে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠার দিনে টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তুললেন বাবর আজম।

২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ৯ উইকেটে জিতে চার ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান এখন ২-১তে এগিয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাটিং করে এইডেন মারক্রাম ও ইয়ানেমান মালানের ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২০৩ রান। সফরকারীরা সেটি পেরিয়ে যায় দুই ওভার বাকি থাকতেই।

টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড।

এই সংস্করণে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে মাত্র ৪৯ বল খেলেছেন বাবর। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ১২২ রান করেন তিনি। আহমেদ শেহজাদের অপরাজিত ১১১ ছাড়িয়ে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস এটিই।

ওপেনিং জুটিতে বাবর ও রিজওয়ান দুজন তুলেছেন ১৯৭ রান। ৪৭ বলে অপরাজিত ৭৩ রান করেন রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি এটি, রান তাড়ায় সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল দ্বিতীয় উইকেটে শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজের ১৪৩, ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

সুপারস্পোর্ট পার্কের ব্যাটিং উইকেটে রান তাড়ায় ঠিক যেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মতোই এগোয় পাকিস্তান। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকদের রান ছিল বিনা উইকেটে ৬৫, পাকিস্তান তোলে ৬৪।

দুই দলেরই উদ্বোধনী জুটির রান একশ স্পর্শ করে ঠিক ৬০ বলে। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে বাবর ফিফটি পূর্ণ করেন ২৭ বলে। পরের পঞ্চাশে যেতে তার লাগে কেবল ২২ বল।

৯০ থেকে তাবরাইজ শামসিকে টানা ছক্কা-চারে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। বাবর-শেহজাদ ছাড়া এই সংস্করণে পাকিস্তানের হয়ে সেঞ্চুরি আছে কেবল রিজওয়ানের।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মার্করাম ও মালানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম ওভারে হাসান আলির টানা চার বলে তিনটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান মারক্রাম।

দুই ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাড়তে থাকে রান। মারক্রাম ২৫ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি, সিরিজে তার টানা তৃতীয়। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ১০৮ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নওয়াজ। মারক্রামের ৩১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস সাজানো ৪ ছক্কা ও ৬ চারে।

তিন নম্বরে সুযোগ পেয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে থামেন জর্জ লিন্ডে (১১ বলে ২২)। প্রথম দুই ম্যাচে ইনিংস বড় করতে না পারা মালান এবার ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে। এরপরই ফেরেন তিনি। ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৫ রান।

বেশিক্ষণ টেকেননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হাইনরিখ ক্লাসেন। দলের স্কোর দুইশ ছাড়ায় মূলত রাসি ফন ডার ডাসেনের ব্যাটে।

চোট কাটিয়ে সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান ২০ বলে ২ ছক্কা ও একটি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দুইশ বা এর বেশি রান করল কোনো দল। সেই রানও পাকিস্তান পেরিয়ে গেল অনায়াসেই।

একই মাঠে আগামী শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype