
তরমুজ, গরমের সময় সবচেয়ে মজার, উপকারী আর প্রশান্তির এক ফল। যে ফলে পানির পরিমাণ শতকরা ৯২ ভাগ।
এতে ক্যালরির পরিমাণও অনেক কম। এছাড়া এতে রয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভিটামিন সি, থায়ামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতি আছে তরমুজে। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই এবং নেই কোনো চর্বিও।
চৈত্রের শুরুতেই বাজারে তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। আমরাও দেখে শুনে বড় একটা তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরি। তবে অনেকেই ঘরে গিয়ে তরমুজ কাটার পর হতাশ হয়।
তরমুজের না থাকে লাল রঙ-না থাকে মিষ্টি স্বাদ। যে বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনি তরমুজ কিনে আর হতাশ হতে হবেন না, জেনে নিন পাকা-মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়-
পাকা তরমুজের মাথার দিকে রঙ হলুদ হয়, তরমুজ পাকলে বেশ ভারী হয়ে যায়, হাতে নিয়ে দেখুন,
তরমুজের গায়ে হাত দিয়ে টোকা দিন, আওয়াজটা খেয়াল করুন, তরমুজের আকৃতি দেখেও বোঝা যায়, এটি পেকেছে কিনা তরমুজ পুরো সমান হয়,
তাহলে এটি পাকা, রং দেখেও যায় চেনা, পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয়, পাকা তরমুজ থেকে মিষ্টি গন্ধ, বেরোয়, একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়।
মোটামুটি এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে তরমুজ কিনুন। দেখবেন আর হাতাশ হবেন না। তো এবার দেখে-বুঝে পাকা মিষ্টি তরমুজ কিনে খান।
তরমুজের খোসা : আমরা সাধারণত তরমুজের ভেতরের লাল অংশটা খেয়ে থাকি, কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না, তরমুজের খোসাও খুব স্বাস্থ্যকর।
এই ফলের খোসা খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ! তাই এবার থেকে আপনি তরমুজ খাওয়ার পরে খোসা ফেলবেন না, বরং সেটি ব্যবহার করুন।
আসুন জেনে নেই তরমুজের খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা- শরীরচর্চা : তরমুজের খোসার মধ্যে থাকা সিট্রুলিন ওয়ার্কআউট বা শরীরচর্চা করার জন্য প্রচুর শক্তি যোগায়। সিট্রুলিন রক্তনালীর প্রসারণকে উন্নত করে।
একটি গবেষণা অনুসারে, সিট্রুলিন পেশীগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যার ফলে ব্যায়ামে ভালো মনোযোগ আসে।
রক্তচাপ হ্রাস করে : রক্তচাপ কমাতে তরমুজ ও এর খোসা খেতে পারেন। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, তরমুজের নির্যাস সম্পূরক অংশ স্থূল লোকেদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে সক্ষম।
গবেষণা অনুযায়ী, সিট্রুলিন সাপ্লিমেন্টস হাইপারটেনশন রোগীদের রক্তচাপ হ্রাস করে।
ফাইবার পূর্ণ : ফাইবার পূর্ণ তরমুজের খোসার আরেকটি উপকারিতা হলো, এটি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ফাইবার নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করতে পারে। তাই আপনার দেহে ফাইবারের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে তরমুজের খোসা খেতে ভুলবেন না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : এক কাপ তরমুজ খোসার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি পেতে পারেন, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভিটামিন-সি শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করে। এতে শরীরে সংক্রমণ হয় না এবং ফ্রি র্যাডিকাল-এর থেকেও বাঁচাতে পারে।