রতন বড়ুয়া : রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রর্থী দিলু আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দিলু আক্তার এর প্রতীক হচ্ছে জবা ফুল। তিনি রাঙ্গুনিয়া মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এলাকায় তার সমধিক পরিচিত।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা জাতীয় সংসদের ২৮৪নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭ এর অংশ। এ পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার আওতাধীন। এটি একটি ‘খ’ শ্রেণীর পৌরসভা। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার আয়তন ২১.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার জনসংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ২৪৪ জন এবং মহিলা ২৫ হাজার ৭৮৯ জন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজনীতিবিদ খলিলুর রহমান চৌধুরী সহ অত্র অঞ্চলের সুশীল সমাজের একান্ত প্রচেষ্টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জুলাই ৮, ২০০০ সালে এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা গঠিত হয়।
পঞ্চম ধাপের তফসিল ঘোষণার পর ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর দাবি করেন, ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা এখন ‘বেড়েছে’।
“ভোটার উপস্থিতি এখন বেড়েছে। এতে বোঝা যায় ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে এবং সম্পূর্ণ আস্থা আছে। ইভিএমে ভোট দিলে ভোট আরও সুন্দর হয়, এ জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে।”
পৌর নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে বরাবরের ব্যবস্থাই নেওয়া রয়েছে বলে আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। তবে সব জায়গায় কিছু লোক থাকে, যারা ভালো জিনিসকে ভালো দেখতে চায় না। যখন দেখে ভালো হয়ে যাচ্ছে, তাদের ভালো লাগে না। এজন্য যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে না, সেখানে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে।
“এটা খণ্ডচিত্র মাত্র, এগুলো সার্বিক পরিস্থিতি না। সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো, অত্যন্ত সুন্দর। উদাহরণ হল- প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে ভোট দেন।”
আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলেন, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে আলমগীর বলেন, “যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে বিজয়ী হওয়ার পরও কমিশন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে।”
প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, “আমাদের কঠিন বার্তা, কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলে পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে রাষ্ট্রের যেমন ক্ষতি, তেমনি নিজেরও ক্ষতি; এটা যেন তারা বোঝার চেষ্টা করেন। আইন সবার মঙ্গলের জন্য, সুন্দর নির্বাচনের জন্য।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এখন থেকেই মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিসহ যাবতীয় নিয়ম নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।