শুক্রবার-১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মাস্ক ব্যবহারে উদাসিন হওয়া যাবেনা

ডেস্ক নিউজ : উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম চলছে। দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিচ্ছেন টিকা নিলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন মাস্কে উদাসীনতা, সংক্রমণ বাড়তে সময় নেবে না। তারপরও মাস্ক নিয়ে উদাসীনতা চলছে। একই সঙ্গে চলছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বের ১৩০ দেশ এখনো করোনা টিকা পায়নি। মাত্র ১০টি দেশ নিয়েছেন ৭০শতাংশ টিকা। বাংলাদেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়, গত ১৩ দিন ধরে টিকা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ।

আর এরইমধ্যে জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক নিয়ে শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টিকা নিলে মাস্ক পরতে হবে না বলেও মনগড়া তথ্য জানাচ্ছেন অনেকে। মাস্কের প্রতি এমন উদাসীনতাকে উদ্বেগজনক মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এটা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়।

দেশে সংক্রমণ এখন নিম্নগামী। গতকালও ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছে ৪০৬ জন। এ নিয়ে দেশে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও চলছে এই মরণঘাতী ভাইরাসকে অবহেলা। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

জানতে চাইলে করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মাস্ক পরতে হবে, এর বিকল্প এখনো নেই। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্লাইট আসছে। তাদের মাধ্যমে দেশে আবার ছড়াতে পারে।

করোনা মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার পর ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যবস্থা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগবে। কিন্তু অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও একজন ব্যক্তি ভাইরাসের পোষক হতে পারেন। তাই ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে হবে।

এ টিকার কার্যকারিতা কতদিন থাকবে বা কতজনকে টিকা দিলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে এসব এখনো অজানা। মাস্ক ব্যবহারে মানুষকে বাধ্য করতে সরকারকে আরো কঠোরতা প্রয়োগ করতে হবে। একই মত দেন রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর। তিনি বলেন, যতক্ষণ না বিশ্বের ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনেটেড না হচ্ছে ততক্ষণ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়। কারণ যে কোনো দেশে যে কোনো সময় আবার আউটব্রেক হতে পারে। যদি মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি উদাসীন হই তাহলে ভাইরাস নতুন করে বিস্তার ছড়াতে পারে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype