সোমবার-৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই টিকা দেয়া যাবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

ইতিহাস ৭১ ডেস্ক : করোনা টিকা দেয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই । করোনার ফ্রন্টলাই নার্স, চিকিৎসাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা, সাংবাদিকসহ অন্যান্য বাহিনী এবং সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাবার আগে টিকার আওতায় আনতে আবারো নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪০ বছরের বেশি বয়সী সব ব্যক্তি এবং ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ব্যক্তির পরিবার যাতে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে ভোটার আইডি নিয়ে করোনা ভ্যাকসিন পয়েন্টে গেলে তাকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সহযোগিতা করা হবে। গ্রামের সবাই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা ৭০ ভাগ। সবাই যেন টিকা নেয় এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই টিকা নিলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী টিকা নিয়ে আরও বেশি করে প্রচার চালাতে বলেছেন। তিনি বলেন, যারা এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন। মন্ত্রীরা যারা টিকা নিয়েছেন তাদের তো বয়স বেশি, তবে তারা ভালো আছেন। টিকা নিয়ে ভয় কাটাতে বেশি করে প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৪০ বছর বয়সী সাধারণ মানুষও করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত ব্যতীত ৫৫ বছরের নিচের কোনো সাধারণ নাগরিক টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারতেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দলের নেতা-কর্মীরা এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, যথেষ্ট কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্তও হয়েছে এবং মারা গেছে তারাই সব থেকে বেশি। কাজেই তারা রেজিস্ট্রেশন করলে টিকা নিতে পারবে। এখন আরেকটু ওপেন করে দেয়ার নির্দেশনাও আমি দিয়েছি বলেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টিকা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, গতকাল থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে, এটাকে আরেকটু রিল্যাক্স করতে হবে। তরুণ যারা আছেন ধীরে ধীরে তাদের ওপেন করে দিতে হবে। যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার প্রয়োজন হলে তাদের ফ্যামিলিকেও ধীরে ধীরে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বার বার অনুরোধ করেছেন, আমরা টিকা বা যা-ই নিই, অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে কিন্তু কোনো কাজ হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটা সুপারিশ করেছে। মাস্ক ছাড়া কোনো কাজ হবে না। কোনো অবস্থায়ই আমাদের মাস্কের সাথে যাতে ছাড় না হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এই টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে যদি ৭০ জন ইমিউন হয়ে যায় তাহলে রোগটি হ্যান্ডেল বা এটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক কম্ফোর্টেবল একটা জোনে আমরা চলে যাব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলে দেয়া হয়েছে, তারা এ বিষয়ে দ্রুত একটা পদক্ষেপের যাবে। ওনারা হেলথের সঙ্গে কথা বলে কী করবেন সেটা ঠিক করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেকেন্ড ডোজ নেয়ার জন্য ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ সময় লাগে। তবে ভ্যাকসিন যাতে ডেট এক্সপায়ার না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রেখে দ্রুত টিকা প্রয়োগের পরামর্শ দেন। করোনার টিকা নিলেও সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করা এবং হাত ধোয়া অব্যাহত রাখতে হবে। যারা টিকা নিয়েছেন তাদেরকেও সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype