ইতিহাস ৭১ ডেস্ক : অধ্যাপক কনক বরণ বড়ুয়া একজন মেধাবী প্রাবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, ধর্ম, রাষ্ট্র ও সমাজ বিষয়ে তাঁর গবেষণা ও লেখালেখি। তাঁর জন্ম ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে। ১৯৭৮ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সন্মানসহ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এবং একই বিষয়ে ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে উদ্যানতত্ত্ববিদ হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সালে চকরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় তত্ত্ব নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা শুরু করেন। বর্তমানে পেশাগত অবসরকালে গভীর নিষ্ঠা ও মননশীলতার সাথে বৌদ্ধ দর্শন ও সভ্যতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করছেন।
২০১৬ সালে ঝুমঝুমি প্রকাশন থেকে তাঁর প্রথম গবেষণাগ্রন্থ Essence of Buddhism & World View প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই গবেষণাধর্মী বইটি বর্হিবিশ্বে গবেষক, স্কলার ও সুধী সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।
তার তথ্য ও গবেষণাসমৃদ্ধ বইও প্রবন্ধ গভীর মননশীলতা ও সাহিত্যমানে ঋদ্ধ পাঠক সমাদৃত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইউ.এস.জার্নাল এ প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক কনক বরণ বড়ুয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি, The Splendid Archaeological Heritage of Buddhism in Bangladesh and South Asia বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীল নান্দনিক লিখনি এবং সমাজ- সদ্ধর্ম উন্নয়নে অসাধারণ কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্মারক ও সম্মাননা পেয়েছেন।
তাঁর মূল্যবান ষাটোর্ধ্ব ইংরেজি প্রবন্ধ ও বই প্রকাশিত হয়েছে সৌরভে ও গৌরবে। তিনি গুগল স্কলার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর সম্পাদিত অনন্যসাধারণ দুটি গ্রন্থ : ‘এসো হে অমিতায়ু বুদ্ধ’ ও ‘চর্যাপদ’। সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনায় তিনি যেমন মেধা ব্যয় করেছেন, তেমনি শ্রম দিয়েছেন।
এই দুটি গ্রন্থ তাঁর মননশীলতার প্রকাশ। দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব বই দুটির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন। বলা যেতে পারে, দেশের প্রকাশনা জগতে পৃথকভাবে আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে এ দুটি গ্রন্থ।
অধ্যাপক কনক বরণ বড়ুয়া ব্যক্তিগতভাবে একজন সরলপ্রকৃতির মানুষ। তিনি বলেন, ‘সরলতাই চিত্তের বিশুদ্ধি। কুটিলতা হচ্ছে মলিনতা। মলিনতা অনর্থকারিণী, বিশুদ্ধতা সর্বাথসাধিনী। কুটিলতা সর্ব-হিত-নাশিনী সরলতা সর্বহিতকারিণী। শুধু নিজের নয়, সকলের হিতসুখ সাধনের জন্য সরলতার আশ্রয় করুন, কুটিলতা পরিহার করুন।’ তিনি নিজে পরোপকারী মানুষ। তাই অন্যকেও এই মনোভাব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন নানা লেখার মাধ্যমে।
অধ্যাপক কনক বরণ বড়ুয়া থাকছেন ‘অনলাইন বাংলা বইমেলায়’। থাকছে তাঁর বই। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।