মঙ্গলবার-১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে – প্রধানমন্ত্রী

ইতিহাস ৭১ ডেক্স : ‌‌’সারাবিশ্বের যেখানেই যাবে সেখানেই যেন দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পারে সেদিকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবীন সেনা অফিসারদের বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মত নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানােনার পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজেদের কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেন। দেশে-বিদেশে আমাদের সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই সর্বক্ষেত্রে তারা দক্ষ থাকবে, উপযুক্ত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে’।

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্রপতি প্যারেড ডিসেম্বর-২০২০ এবং ৭৯ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ডিসেম্বর সকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথাগুলো বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য যা যা প্রয়োজন সেটা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, জাতির পিতার কাঙ্খিত ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে সার্বিকভাবে কাজ করা হচ্ছে এবং সেই লক্ষ্যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশপাশি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উন্নয়নের কাজ চলছে। ৪১ সালে বিশ্বে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। সেই সময় দেশ পরিচালনায় আরো উঁচু মানের অফিসার হিসেবে আজকের যারা নবীন সেই তোমরাই দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি এ সময় শতবর্ষ মেয়াদী ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই ভূখণ্ড একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং জাতির পিতার এই স্বপ্ন আমরা পূরণ করব, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সেনাবাহিনী যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষায় অনেক অবদান আমাদের সেবাহিনীর অফিসাররা রেখে যাচ্ছেন এবং প্রতিটি দেশেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ সময়কে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের জন্যই একটি ‘ক্রান্তিকাল’ আখ্যায়িত করে মাননীয প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ছে, জীবনযাত্রা সীমিত হয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের জীবনে দুর্ভোগ আসছে। তিনি বলেন, এই করোনা মোকাবেলায় আমাদের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং সাহায্য করায় বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নবীন ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার মাহমুদুল হাসান শ্রেষ্ঠ চৌকষ ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করায় ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণ পদক’ও অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে নবীন ক্যাডেটদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের সেনাসদস্যরা যাতে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীকালেও এই শিক্ষাটা তাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে কাজে দেবে। তিন বছর মেয়াদি কঠোর প্রশিক্ষণ শেষ করে আজ ৭৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে বাংলাদেশসহ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র প্যালেস্টাইন ও শ্রীলঙ্কার প্রশিক্ষণার্থীরা ‘লেফটেন্যান্ট’ হিসেবে কমিশন লাভ করতে যাচ্ছে। আজকের এই শুভক্ষণে আমি সকল নবীন অফিসারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার পাসিং আউট প্যারেডে প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি দেন। প্রধানমন্ত্রী ক্যাডেটদের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, তোমরা নেতৃত্বে সফল হও, আরো দক্ষ হও, সুশিক্ষিত হও- দেশ ও জাতি তোমাদের জন্য সবসময় গর্ব অনুভব করবে- সেটাই আমি চাই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype