মঙ্গলবার-১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পরবর্তিত্বে সংবাদ সম্মেলন-

 

রামগড়(খাগড়াছড়ি)উপজেলা সংবাদদাতাঃ ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির উপলক্ষে ২৩তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়ে গেলো গত ২ ডিসেম্বর। ২২ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিজেএসএস) মধ্যে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মধ্যেদিয়ে অবসান ঘটে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পাহাড়ে রক্তের হোলিখেলার। এটা ছিল সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য। তখনকার সময়ের সরকার প্রধান ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাহাড়ে ঘোর অমাবশার অন্ধকার ভেদ করে উদিত হয়েছিল শান্তির সূর্য। চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তির দিনটি স্বরণীয় করে রাখতে পরবর্তীত্বে বৃহঃবার(৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের।

সংবাদ সম্মেলনে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন- সরকার জেএসএসের সঙ্গে যে শান্তি চুক্তি সম্পাদন করে তন্মধ্যে ৭২ ধারা ছিল। সরকারের দাবি অনুযায়ী ইতোমধ্যে এসব ধারার ৪৮টি পুরোপুরি, ১৫টি আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট ৯টি ধারা বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু জেএসএস অস্বীকার করে আসছে ৩০টির বেশি ধারা বাস্তবায়ন হয়নি বলে দাবি জানিয়ে আসছে।

অপরদিকে তিনি বলেন, পাহাড়জুড়ে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, তিন পার্বত্য জেলা, আঞ্চলিক পরিষদ এবং সরকারের ২১টি ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বর্তমানে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় ১ হাজার কোটি টাকার ‘বর্ডার রোড’ নির্মাণ কাজ চলছে। সঙ্গে চলছে বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) নির্মাণ কাজ।

এছাড়া সারাদেশে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পার্বত্য এলাকায় বিগত সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ে শান্তির পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ ও শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা’র উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন তার একান্ত প্রচেষ্টায় খাগড়াছড়িতে শিক্ষা,চিকিৎসা, পর্যটন যোগাযোগ ও আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সিটিজি জার্নালের সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক,হেয়াকো বনানী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক উর রহমান,রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র,সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন,কোষাধ্যক্ষ শুভাশীষ দাশ,সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন,সাংবাদিক রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা,শাহাদাত হোসেন কিরন,মোশারফ হোসের সহ প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype