জুবাইর চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন নিয়ে সংবাদ প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ‘নেত্রী আমাদের দলের যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তিনিই প্রার্থী।’ তার এই ঘোষণায় নগরে কয়েকদিন ধরে চলে আসা এই কানাঘুষারও সমাধান হলো।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক পুলিন দের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় এই প্রসঙ্গে কথা বলেন সুজন।
চসিক নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছিল দল।
এরপর করোনায় স্থগিত হয় নির্বাচন। এই সময় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন খোরশেদ আলম সুজন। দায়িত্বে এসে চসিকের সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন তিনি। করেছেন অনেক অভ্যন্তরীণ বদলি। প্রায় প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন প্রান্ত চষে শুনছেন নগরবাসীর সমস্যার কথা। এর মধ্যেই স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচন নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নানা মেরুকরণের দোলচাল এর সংবাদ ভেসে আসছিল।
তবে এসব বিষয়গুলা কিছু মিডিয়ার সৃষ্টি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুজন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এখন আড়াইশটা অনলাইন মিডিয়া। এরমধ্যে দেড়শটা অনলাইন টিভি। কিচ্ছু লাগে না, মোবাইল একটা পকেটে থাকলে হয়। একেকদিন একেকজন একেক কথা লিখে। কোথাও কোথাও নাকি লিখেছে আমি মেয়র পদে আগ্রহী। পরিষ্কার করে বলতে চাই, নেত্রী আমাদের দলের যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তিনিই প্রার্থী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দায়িত্ব পালনের অংশ হিসবে বর্তমানে প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন জানিয়ে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, স্থগিত নির্বাচনের ফাঁদে পড়ে এই পদে এসেছি।
এর প্রতি কোনো আগ্রহ আমার ছিল না। নেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা শতভাগ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চাই।
অধ্যাপক পুলিন দে স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেম শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সুনীল সরকার, জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশীষ গুহ বুলবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল, মশিউর রহমান চৌধুরী ও চন্দন প্রমুখ।