শুক্রবার-৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১১ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শোকর এ মওলা মঞ্জিল’ কর্তৃক আয়োজিত “জিকরে শাহানশাহ্‌, মাইজভাণ্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে”অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ইতিহাস৭১ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শোকর এ মওলা মঞ্জিল’ কর্তৃক আয়োজিত “জিকরে শাহানশাহ্‌, মাইজভাণ্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে”


সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী গবেষক ও লেখক মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সিনিয়র সদস্য, রিসালাতুন নাজাত গ্রন্থের রচয়িতা, মাইজভাণ্ডারী আদর্শবাহী ছাত্র ও যুব সংগঠন জ্যোতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মোঃ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “যাকাত করুণা নয়, এটা অধিকার। আমরা গ্রন্থগত বিদ্যা দিয়ে আল্লাহর মাহাত্মকে বিচার করি। মানুষ হওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে আমাদের যেতে হবে। স্রষ্টা নির্ভরতা অর্জন করতে হবে। সুফিবাদের মাধ্যমে আমরা ইসলাম পেয়েছি। আমাদের দৃষ্টি বদলাতে হবে। রাসূল (দঃ) এর চরিত্রকে মানুষের মাঝে জাগ্রত করার জন্য গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর আগমন হয়েছিল। মাইজভাণ্ডারী তরিকা গ্রহণ করা মানে খোদার রহস্যের মধ্যে ঢুকে পড়া। এই তরিকা আলাদা কোন দর্শন নয়। এটা ইসলামী দর্শন।”
এই অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য কাজী মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুল হোসাইন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মেডিক্যাল সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার ডা. পঞ্চানন দাশ। আরও বক্তব্য দেন আশেকানে হক ভাণ্ডারী,শোকর এ মওলা মন্‌জিলের সভাপতি সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন ও জ্যোতি ফোরাম কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন তাওরাত। সঞ্চলনায় ছিলেন এস এম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ।
অনুষ্ঠানে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান এবং নারীদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন-“ধর্ম হচ্ছে প্রেম। সব নবী ও রাসুল আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস, শিরক থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মীয় জীবনবিধানের আনুগত্য করার জন্য মানবজাতিকে আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথিবীর শুরু থেকে মানুষ অভিন্ন দ্বীনের অনুসারী ছিল। সব নবী-রাসুলগণের ধর্ম ছিল এক। পৃথিবীতে তাঁদের প্রেরণ করার উদ্দেশ্যই ছিল মানুষকে সকল দাসত্ব থেকে মুক্ত করে এক আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করা। আল্লাহর জীবনবিধান অস্বীকার এবং অন্ধ অনুকরণের কারণে আসমানি ধর্মের অনুসারীদের পরিচয় ও ধর্মীয় জীবনে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। অন্য সৃষ্টির প্রতি আঘাত করার অধিকার ইসলাম দেয়নি। ইসলাম মানুষের জন্য। ইসলাম মানে গোঁড়ামি নয়। ইসলাম এসেছে আদি পিতা হযরত আদম (আ.) থেকে।”
উক্ত মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার জন-প্রতিনিধি ও মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ ও বিভিন্ন শাখা কমিটি এবং আশেকানে হক ভাণ্ডারী-শোকর এ মওলা মনজিল, জ্যোতি ফোরামের সকল পদের কর্মকর্তা সদস্যসহ অসংখ্য আশেকানে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারীবৃন্দ।
পরিশেষে মিলাদ-কিয়াম, মাইজভাণ্ডারী সেমা ও মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype