শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তায় আরো জোর দিতে বলা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তায় আরো জোর দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় তথ্যভান্ডারের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আর যে সকল স্থানে গ্যাস ও তেল পাইপলাইনে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে পরিবহন খরচ না লাগে এবং তাড়াতাড়ি গ্যাস ও তেল সরবরাহ করা যায়।

এখন সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন জোরদার করতে বলা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত দু’তিন বছর ধরেই এই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এখন বিষয়টির ওপর আরো জোর দেওয়া এবং আধুনিক উপকরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনভাবেই যাতে ওয়েবসাইট বা অন্য কোন বিষয় হ্যাক না করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ধীরে ধীরে ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যাওয়া হচ্ছে। এগুলোতে যেন ভালো রকমের নিরাপত্তা থাকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন), আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি জাতীয় সংসদে পাস হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো স্বায়ত্বশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের সম্মতি লাগবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইন পাস করা হয়। কিন্তু তাতে একটি বিষয় অস্পষ্ট ছিল। সেটি হলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়ের কর্তৃপক্ষ ছিল অর্থ বিভাগ। কিন্তু স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থা, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়টি পরিস্কার ছিল না। এজন্য অর্থ বিভাগ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা লেজিসলেটিভ সংস্থার আর্থিক বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটি কর্তৃত্ব থাকবে। কোন প্রতিষ্ঠান নিজের মতো করে বেতন ভাতা ঠিক করে নিলে তা হবে না। অর্থাৎ যে কোন অর্থনৈতিক বিষয়ে অর্থ বিভাগের ছাড় নিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এর মধ্যে পড়বে। এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু এই আইন হওয়ার পর বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। এছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবসহ আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আগামী ১৫ ডিসেম্বর সরকারী চাকরি থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যাবেন। আজ ছিল তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেষ অংশগ্রহণ। ইতিমধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।-বাসস

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype