রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে প্রতিষ্ঠায় নির্মূল কমিটির অবদান অনস্বীকার্য’ বাঁশখালী সম্মেলনে ড.সেকান্দর চৌধুরী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন এবং চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ ৩০ বছরের ধারাবাহিক সংগ্রামে নির্মূল কমিটিই একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন-যেটি কখনো, কোথাও বিক্রি হয়নি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে সবসময়, সর্বত্র আপোষহীন। তিনি আরো বলেন, ‘৭৫ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত ঘাতক দালালদের পৃষ্ঠপোষক এবং প্রেতাত্মারাই ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃতির প্রতিযোগিতায় ছিলো। তাই একটি প্রজন্ম ইতিহাস বিভ্রান্তিতে ছিলো। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঘাতক দালালদের বিচার কার্যক্রম শুরুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭৫ সালে তাঁর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর শহীদ জননী জাহানারা ইমামই যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটি বাস্তব রুপ দান করেছেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাঁশখালী উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২৬ নভেম্বর, বিকেলে বাঁশখালীর গুনাগুরিস্থ মাইশা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.সেকান্দর চৌধুরী এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম মো. জিল্লুর রহমান সাবেক পলিটিক্যাল এপিএস লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি। সংগঠনের বাঁশখালী শাখার আহ্বায়ক আয়কর আইনজীবী লায়ন শেখর দত্তের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা আজমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বন্ধু চক্রবর্ত্তী ও সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ সাহাব উদ্দিন, মাহমুদুল ইসলাম বদি, লোকমান আহমেদ প্রমুখ। উদ্বোধকের বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই নিয়েছিলেন এবং সমগ্র জাতিকে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এই জাতীয়তাবাদকে অবলম্বন করে একজোট হয়েছিলো, এভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধ নতুন মাত্রায় বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং শেষে বাঁশখালী শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার সিকদারের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিল্পীবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে লায়ন শেখর দত্তকে সভাপতি, আজমীরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype