
অনলাইন ডেস্ক : আজ সম্প্রীতির অপূর্ব অনন্য একদিন।মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, হিন্দু ধর্মালম্বীদের লক্ষী পূজা, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্নিমা, ২০২২।সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ বাংলাদেশ। সকল সম্প্রদায় যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে এবং উৎসব সকলে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এটাই হাজার বছরের সংস্কৃতি।’ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’-শেখ হাসিনা।
ঈদে মিলাদুন্নবী
হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল আজ। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা: দুনিয়াতে আসেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ দিনেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী সা:-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হবে।
লক্ষ্মীপুজা
“এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে আমার এ ঘরে থেকো আলো করে”। আজ বাংলায় বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষীপুজা আয়োজন চলছে। দুর্গাপুজা শেষ হতেই আজ বাঙালির ঘরে ঘরে চলছে কোজাগরী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা। তাই লক্ষ্মী মায়ের আরাধনায় সেজে উঠেছে বাঙ্গালীর গৃহকোন, মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়োর আল্পনায় মা লক্ষ্মীর চরণছাপ। আজ লক্ষীপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে লক্ষীদেবীর আরাধনা চলছে। সমৃদ্ধির আশায় বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর আয়োজন।
প্রবারনা পুর্নিমা
শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান উৎসব আজ । বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করবে। এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
বৌদ্ধদের মতে, এ পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব তথাগত গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।
পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস ধরে দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।