
সম্পাদকীয় : শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম দুর্গাপূজা। ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত পাঁচ দিন দুর্গোৎসব হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এ বছর ১ অক্টোবর দুর্গাষষ্ঠীর মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দুর্গারুপে দুর্গতি নাশ করে মঙ্গল সাধন করেন সেজন্য তার নাম দুর্গা। আবার পুরাণ মতে, দুর্গম নামে এক অসুরকে নিধন করেছিলেন বলেও দুর্গা নামে অভিহিত করা হয়।
প্রতিবছর শরৎকালে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও বাঙালি হিন্দু সম্প্র্রদায় অধ্যুষিত বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় মহাসমারোহে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অগণিত ভক্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবীর আরাধনায় পুষ্পাঞ্জলি দেয় । এছাড়াও অঞ্জলি শেষে ভক্তদের মাঝে ফলমূল, খিচুড়ি আর ভোগের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। বর্তমান সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সব ধর্মের মানুষ সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে।
ইতিমধ্যে সরকার সারাদেশে দূর্গা পুজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করেছেন । সারাদেশে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে এই দুর্গাপুজা উদযাপন করতে পারেন প্রশাসনের পক্ষ হতে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাপুজার অনুষ্টান সুন্দর ও নিরাপদ হোক এবং সবাই সুন্দরভাবে পালন করুক এই কামনা করছি ।
দূর্গাপুজা উপলক্ষে মাসিক ইতিহাস৭১ শারদ সংখ্যা বের করতে যাচ্ছে । দূর্গাপুজা হোক সার্বজনীন ও আনন্দময় ।