জুবাইর চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক’র নির্দেশ মোতাবেক ২০২০ সালের মধ্যেই সারা বাংলাদেশের ন্যায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার সকল এলাকা থেকে সন্ত্রাস-মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন উক্ত থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার। মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই বায়েজিদ বোস্তামী থানার চিত্র পাল্টে দিয়েছেন। তিনি সর্বত্রই সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ওসি প্রিটন সরকারের চ্যালেঞ্জিং কাজ দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন বায়েজিদ এলাকাবাসী। গত ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ প্রিটন সরকার উক্ত থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর, তিনি যে ভাবে উক্ত থানার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে এবং মাদক-সন্ত্রাস, ভূমিদস্যুদের অবৈধ বাজার-স্থাপনা উচ্ছেদে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা এক বিরল দৃষ্টান্তের পরিচয়। জনসংখ্যা ও অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ থানা হচ্ছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা। এই থানাটি বিগত সময় সন্ত্রাস-মাদক এবং ভূমিদস্যুদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত পেয়েছিল বায়েজিদ এলাকাবাসীর কাছে। ক্রাইম জোনের হটস্পট বলা হতো বায়েজিদের বিভিন্ন এলাকাকে। কিন্ত অকল্পনীয় হলেও সত্য যে, মাত্র অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ওসি প্রিটন সরকার তার নিরলস শ্রম এবং বলিষ্ট নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই ক্রাইম জোনখ্যাত বিভিন্ন এলাকাসহ বায়েজিদ বোস্তামী থানাকে একটি শান্তিপ্রিয় থানা হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমূল পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা ও নিরলস পরিশ্রম করে চলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশের চৌকস ও সাহসী অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং বায়েজিদ এলাকাবাসীর খুব আস্থাভাজন ও প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন। শেরশাহ বাংলাবাজারের অবৈধ দোকান ও বাজার উচ্ছেদে এবং উক্ত এলাকার চলমান সহিংসতা দমন এবং আইন শৃংখলা রক্ষায় এক চৌকস অফিসার হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তিনি কয়েকবার বিভিন্ন পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন এবং পেয়েছেন শ্রেষ্ট ওসির সম্মাননা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতে যখন পুলিশের কাজ নিয়ে অনেকেই সমালেচনামূখর, ঠিক তখনই ওসি প্রিটন সরকারের কর্মকান্ডে প্রশংসিত হচ্ছে দেশের পুলিশ প্রশাসন। এছাড়াও তিনি কমিউনিটি বিট পুলিশিং এবং বায়েজিদের বিভিন্ন এলাকায় উঠোন বৈঠক করে যুব সমাজকে উদ্ধুদ্ধ করার মাধ্যমে সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার ঘোষনা দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে, বায়েজিদ এলাকার সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যু পাহাড়খেকোরা একটু নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে। এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানোর কারণে বায়েজিদের মানুষ এখন অনেকটা নিরাপদে রয়েছে।