বৃহস্পতিবার-১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি নেত্রী ও তাদের মহাসচিবেরই শিষ্টাচার শেখা প্রয়োজন -তথ্যমন্ত্রী

 অনলাইন ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
বুধবার ৩১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরেও যখন দরজা খোলেননি এটা কোন ধরণের শিষ্টাচার।’
‘শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন আপনার সাথে আমরা আলাপ করি। তখন বিএনপিনেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন সেটি কোন ধরণের শিষ্টাচার’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বললেন উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে -এটা কোন ধরণের শিষ্টাচার। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, বেগম খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাতো না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই এরপরও যারা উপহাস করে, তারা কি ক্ষমতা থাকলে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা দেখাতো!’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ক’দিন পরে পরে বিএনপি নেতারা বলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো বলার পর দেখা যায় বেগম জিয়া ভালো হয়ে ফেরত যায়। বেশি কথা বলতে চাই না, আমাকে আমার নেত্রী শিষ্টাচার শিখিয়েছেন, আমার পরিবারও শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু কারো জীবন যখন সংকটাপন্ন হয় তখন কি কেউ সেজেগুজে হাসপাতালে যায়! এটির জবাব মির্জা ফখরুল সাহেব নিশ্চয় দেবেন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলো জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক জিয়া। সুতরাং দুটি হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে’র সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype