সোমবার-২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গর্ভবতী মা দের পুষ্টি খাবার সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মোহাম্মদ জুবাইর ,বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম।
পুষ্টি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম একটি ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগ । চট্টগ্রাম-৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশে দারিদ্র সীমার নীচে অবস্থানকারীদের সংখ্যা বহুলাংশে হ্রাস পেলেও করোনাকালে সেই হার উর্দ্ধগতি লক্ষণীয়। মোট জনগোষ্টির একটি বড় অংশ এ মহামারিকালে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে প্রান্তিক শ্রেনীর নারীদের সংখ্যা বেশি। তাদের অনেকের কর্মীর হাত ভিকারির হাতে পরিণত হয়েছে। এর ফলেই এ প্রান্তিক শ্রেনীর গর্ভবতি মায়েরা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি পুষ্টিহীনতার শিকার। তাদেরকে পুষ্টির যোগান দিতে ইউএনডিপি’র চলমান পুষ্টি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম একটি ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকেএইড এর সহায়তায় প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ নগরীর ফিরোজশাহ ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডস্থ গলাচিপায় অনুষ্ঠিত জরুরী পুষ্টি খাবার সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশাসক এসব কথা বলেন। প্রশাসক চলমান এই প্রকল্পের ধারণা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে বলেন, এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্টি থেকে একটি সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিমান পরবর্তী প্রজন্ম তৈরী করা সম্ভব। আর এই সুস্থ সবল পরবর্তী প্রজন্ম পাওয়ার জন্য গর্ভবতি মাকে সর্বাগ্রে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে একজন মা গর্ভ ধারনের পর গর্ভাবস্থায় ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে শিশুর মস্তিস্কের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ গঠন হয়। বাকী ২ বছরের মধ্যে পরিপূর্ণতা পায়। তাই সকল গর্ভবতী মা দের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহবান জানান প্রশাসক। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরকে সংসারের কাজের বাইরেও রুটি-রুজির জন্য বাসা-বাড়ী,কারখানা বা অফিসে কায়িক পরিশ্রম করে উপার্জণ করতে হয়। তারপরও নিজের শিশু সন্তানদের সময় দিয়ে স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। তা না হলে আদর মায়া মমতাহীন শিশুটির মধ্যে একধরনের সান্নিধ্য না পাওয়ার অভাব তৈরী হবে। এথেকে শিশুকাল থেকে তাদের মানসিক বৈকল্য ঘটতে পারে এবং নানাভাবে অবাধ্য হয়ে পড়ার প্রবণতা তৈরী হতে পারে। এটা সমাজের জন্য একটি অশুভ লক্ষণ। কারণ এভাবেই একটি প্রজন্ম মাদক,সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অপকর্মে পাপবিদ্ধ হয়ে যায়। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে মায়েদের নিজেদের উপার্জন, সংসার এবং সন্তান লালন-পালনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসক কোভিড-১৯ দূর্যোগকালীন সময়ে ধৈর্য্যশীল হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন জীবিকার লড়ায়ে সামিল হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরওয়ার হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype