ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক : বরিশাল নৌ-রুটে বাড়তি ভাড়ায় আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ভাড়া বাড়েনি এখনও। অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে হুট করে ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
৬ আগস্ট (শনিবার) সকালে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ভোলাগামী লঞ্চের কয়েকটিতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে লঞ্চের যাত্রীরা বলছেন, যাত্রী প্রতি ৪০ টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো লঞ্চে ৫০ টাকাও বেশি নেওয়া হচ্ছে। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে ১২০ টাকা ভাড়া থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
লঞ্চর স্টাফরাও বলছেন ভাড়া বাড়ার ঘোষণা আসেনি। কিন্তু জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। নতুন মূল্যে তেল কিনে লঞ্চ চালনা কঠিন। তা না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
লঞ্চ ছাড়াও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে স্পিডবোটে। আগের ভাড়ার সঙ্গে নতুন করে ৫০ টাকা সংযোজন করা হয়েছে। বরিশাল-ভোলা রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটের চালকরা বলছেন, ৫০ টাকা করে বাড়ালেও ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হবে।
বরিশাল-ঢাকা রুটে সন্ধ্যার পর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তাই আগে থেকে সংশ্লিষ্টজনদের কাছ থেকে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েকজন জানান, কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তারা কিছু বলতে পারছেন না। আগাম বিক্রি হওয়া কেবিন ভাড়া আগের দামে থাকছে।
এমভি মানামী লঞ্চের সুপারভাইজার শুভ জানান, তারা এখনও ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত পাননি। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন ভাড়ার তালিকা ঠিক করা হবে। কেবিনের ভাড়ায় তারতম্য না হলেও ডেকের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় টার্মিনাল ও রুপাতলী টার্মিনাল থেকে যথানিয়মে বাস চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। যাত্রীরা বলছেন, নিয়ম মাফিক বাস চললেও অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহনের সংখ্যা কমানো হয়েছে। দূরপাল্লার বাসে ভাড়াও কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানান, ভাড়া বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তবে, তেলের দাম যেহেতু বেড়েছে আমাদের খরচও বাড়বে। অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হলে বাসের ভাড়া নির্ধারণের ব্যাপারে আলোচনা হবে।
শুক্রবার রাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর বরিশাল নগরসহ আশপাশের ফিলিং স্টেশনগুলোয় ভিড় লাগে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে চিত্র ভিন্ন। নগরী ছাড়াও বাইরের ফিলিং স্টেশনগুলোয় কোনো যানবাহনের চাপ নেই। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা অলস সময় পার করছেন।
এম.জে.আর