শুক্রবার-১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ইমাং পাঠাগারের শুভ সূচনা আলুটিলা পর্যটন ত্রিপুরা পাড়ায়।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, দহেন বিকাশ ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আলুটিলা পর্যটন ত্রিপুরা পাড়ায় স্থানীয় কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচেষ্টায় শুভ সূচনা করেছে ইমাং নামে একটি পাঠাগার। গতকাল এই পাঠাগারটি শুভ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমী পদকে ভূষিত বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা। মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দানবীর শিক্ষানুরাগী ও বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী দীনময় রোয়াজা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক প্রভাংশু ত্রিপুরা বলেন, জ্ঞান অর্জনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পাঠাগার উল্লেখ করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন পাঠাগারের গুরুত্ব আমি বুঝি তাই পরামর্শ দেন পাঠাগারের নতুন ভবনের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডে কাছে আবেদন করার জন্য এবং তিনিও নিজ থেকে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীনময় রোয়াজা বলেন, বর্তমান সরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি অনেক আন্তরিক। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমনি মানুষের আরাধনার স্থল তেমনি পাঠাগার হচ্ছে নিভৃতেজ্ঞান অর্জনের স্থল। উদ্বোধন শেষে পাঠাগার পরিচালনা কমিটির হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। এছাড়াও শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা ও টিএসএফ’র নেতাকর্মীরা, পাঠাগারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ক, মুক্তগবেষক ও সমাজকর্মী এবং সংগঠক নবলেশ্বর ত্রিপুরা (লায়ন), শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠক জয় প্রকাশ ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রেম কুমার ত্রিপুরা, স্থানীয় পাড়া লিডার রমনা রঞ্জন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা সনাতনীগীতা সংঘের অর্থ সম্পাদক পিন্টু বিকাশ ত্রিপুরা, কার্বারী কীতি রঞ্জন ত্রিপুরা,স্থানীয় সমাজসেবক পিযুষ কান্তি ত্রিপুরা ও রেশম কান্তি ত্রিপুরা প্রমুখ। ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও এলাকার শিক্ষক অর্পন বিকাশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক শয়ন বিকাশ ত্রিপুরা। সভা শুরুতে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন কজিতা ত্রিপুরা ও রনজিত ত্রিপুরা (পানতৈ)। পরে সভাশেষে পাড়ার স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype