
চট্টগ্রাম কলেজের মেধাবী ছাত্র এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য নিখোঁজ দুর্জয় বড়ুয়ার উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধনে তার মা বলেন, গত ২১ মে ২০২২ হতে আজ অবধি নিখোঁজ রয়েছেন। এ বিষয়ে ইপিজেড থানা ও র্যাব-৭ এ জিডি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও বলা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও আজ পর্যন্ত কোন উদ্ধার তৎপরতা চোখে পড়েনি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে নিখোঁজ দুর্জয়ের মা আকুল আবেদন জানান। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী। তিনি অবশ্যই আমার সন্তানকে ফিরিয়ে পাবার ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও নির্দেশনা প্রদান করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়ে নিখোঁজ দুর্জয়ের কোন তথ্য দিতে পারেনি। সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু পেশাজীবি কুচক্রী মহল, বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে এবং ভুল তথ্য দিয়ে একটি জঙ্গী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মেধাবী ছাত্রদেরকে উদ্বুদ্ধ করে কৌশলে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করছে।
তাই এ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলে দিতে চাই, আপনি যেভাবে বিভিন্ন ট্রাজেডি নিজের চোখ দিয়ে দেখেন এটাও আপনাকে ঐ চোখ দিয়ে দেখতে হবে। এই আবেদনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহৃদয়তার সহিত বিবেচনা করবেন। সাম্প্রদায়িকতার চিন্তা চেতনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনাধারীদের হৃদয়ে আঘাত করে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ভূমিকা সক্রিয় থাকতে হবে। অবিলম্বে নিখোঁজ মেধাবী ছাত্র দুর্জয় বড়ুয়াকে তার মাতা-পিতার কাছে ৪৮ঘন্টার মধ্যে হস্তান্তর করতে হবে, অন্যথায় আমরণ অনশণসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
গতকাল ৭ জুন বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে চট্টগ্রাম কলেজের মেধাবী ছাত্র নিখোঁজ দুর্জয় বড়ুয়াকে উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধনে সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব সরিৎ চৌধুরী সাজু’র সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক বিকাশ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মৃগাঙ্ক প্রসাদ বড়ুয়া, কৃষ্টি প্রচার সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী পরিতোষ বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিপ্রকাশ বলরাম চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া, সাংবাদিক রতন বড়ুয়া, স্বপন কুমার বড়ুয়া, সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, বিকাশ চৌধুরী, সাংবাদিক অধীর বড়ুয়া, শরণ সেন মহাথের, জি.বি.এস আনন্দবোধি ভিক্ষু, এড. দীর্ঘতম বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কাজল প্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ কুমার বড়ুয়া, ভিপি উত্তম বড়ুয়া, প্রণবরাজ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট নেতা অনুপম বড়ুয়া পারু, প্রকৌশলী পলাশ বড়ুয়া, এপেক্সিয়ান মৃনাল কান্তি বড়ুয়া, অভিনাশ বড়ুয়া, প্রাণতোষ বড়ুয়া, সিমাজু বড়ুয়া (সিমান্ত), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরাম’র সাধারণ সম্পাদক রুবেল বড়ুয়া, কমলজ্যোতি বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, রাজীব বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া, মিল্কী বড়ুয়া, অলক বড়ুয়া, উৎপল বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া, পল্টু কান্তি বড়ুয়া, সেগুন মুৎসুদ্দী, কনক বড়ুয়া, রঞ্জন বড়ুয়া, বোধিপাল বড়ুয়া, মৃদুল বড়ুয়া, ছোটন বড়ুয়া, প্রকাশ বড়ুয়া সুশীল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যপ্রিয় বড়ুয়া, বিকাশ চৌধুরী, রনি চৌধুরী, বনরুপা বড়ুয়া অমি, সুমিত বড়ুয়া, প্রিয়রঞ্জন বড়ুয়া, শিপলু বড়ুয়া, সবুজ বড়ুয়া পিলু, প্রকাশ বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া, অসীম বড়ুয়া প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম শিবলী সংসদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্ট।