রবিবার-১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৩ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে

বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অশনি উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় আঘাত হানতে পারে। এ জন্য আমরা সবাই এখন অ্যালার্ট (প্রস্তুত)। ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পূর্বপ্রস্তুতি বিষয়ে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ সচিব কামরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এদিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল জানতে পেরেছি ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভেলপ করেছে। যেটা ৯ মের মধ্যে হয়তো লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে, যেটাকে আমরা লঘুচাপ বা লো প্রেসার বলি। এরপর ধীরে ধীরে এটা সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লো প্রেসারের রূপ ধারণ করবে। ১১ মের দিকে এটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হতে পারে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে ‘অশনি’। এটার ল্যান্ডফলটা এখন পর্যন্ত ক্যালকুলেশন হয়নি। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পর বিস্তারিত জানাতে পারব।’
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ দেশ।

আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, ঝড়ে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার জন্য আমরা আজ প্রাথমিক সভা ডেকেছি। এখানে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে লঘুচাপ, কবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটা স্টেপে আমাদের প্রস্তুতি কী, কাদের সংযুক্ত করব, কাদের দায়িত্ব দেব, কোথায় কীভাবে নির্দেশনা দেব সেগুলো আমরা আজ ঠিক করেছি। পরে যদি সতর্ক সংকেত দেওয়া হয় তাহলে আমরা একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে নির্দেশনাগুলো মাঠপর্যায়ে দেব। আমাদের সিপিপি ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করছেন। আমাদের যে এসওডি আছে সে অনুযায়ী কখন কী করতে হবে জানিয়ে দিয়েছি। সবাই আমরা এখন অ্যালার্ট। পরে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিপিপি ভলান্টিয়ারদের অবহিত করা, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা, যদি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে শেল্টার সেন্টারগুলো প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের প্রায় ৭ হাজার শেল্টার হাউস আছে। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য ভবন কাজে লাগাব। আম্ফানের সময় ১৪ হাজারের বেশি শেল্টার প্রস্তুত করেছিলাম। সেখানে প্রায় ২৪ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছিলাম। আমাদের সেই ক্যাপাসিটিও প্রস্তুত। আশা করি এটি মোকাবিলা করতে পারব।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype