
একটি শিশু যার বেড়ে উঠার কথা প্রকৃতির সাথে খেলা করে, কিন্ত তার এখন দিন কাটে কোন এক হাসপাতালের নির্জন কক্ষে একটি বেডে । হাঁ প্রাঞ্জল বড়ুয়ার কথা বলছি । যার জন্য বাবা মা আজ পাগল প্রায় । কারন তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে ।দ্রুত যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না যায় তা হলে এই ফুটফুটে ছেলেটা হয়ত পৃথিবীর বুকে আর বেশিদিন স্থায়ী হতে পারবেনা । কিন্ত বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন ।
প্রিতিশোক বড়ুয়ার ছেলে প্রানজল বড়ুয়া গত প্রায় ১০ বছর যাবত জটিল কিডনি রোগ এলপোর্টস সিনড্রোমে(Alports Syndrome) ভুগছে। ছোটবেলা হতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দরুণ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও রোগটি সঠিকভাবে শনাক্ত না হওয়ায় এবং তার শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হওয়ায় উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতে গমন করেন। সেখানকার চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানান, ওনার দুরারোগ্য ব্যাধি Alports Syndrome এ আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার দু’টি কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে।
অতি সত্ত্বর একটি কিডনি অপারেশন করা না হলে তার পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আপনাদের নিকট এটি অজানা নয় যে, কিডনি অপারেশন একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা। বর্তমানে যা টাকার অংকে ৩৫ লক্ষ টাকারও অধিক হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ছোটবেলা হতে ওনার বিরুপ শারীরিক অবস্থার দরুণ তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে করতে আজ তার পরিবার নিঃস্ব।যার ফলে কিডনি অপারেশনের মত এত ব্যয় বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। উল্লেখ্য ওনার বয়স মাত্র ১৪ বছর এবং বর্তমানে সে চট্টগ্রাম সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।