
১১তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় এম এ মালেক দেশ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার সাধারণ মানুষের কল্যাণ, সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ ছাড়া সমাজের ও দেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। সকল মানুষের সমান অংশগ্রহণ ও কল্যাণ নিশ্চিত করা গেলে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব। একজন প্রথিতযশা আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক হওয়ার পরেও সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়েননি অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে আত্মনিবেদিত ছিলেন। তাঁর অবদান জাতি আজীবন বিন¤্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত লায়ন এম এ মালেক এ কথাগুলো বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র বাবা অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস এসোসিয়েশন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে এক স্মরণসভা আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৫টায় নগরীর চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন লায়ন এম এ মালেক। স্মরণসভা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও স্মরণসভা উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব, ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাশেম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম, সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. এম এ নাছের, জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক ভোরের ডাক ব্যুরো প্রধান কিরণ শর্মা। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি, এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের সন্তান খালেদ মাহমুদ।
এ সময় অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পংকজ রায়, মহানগর যুবলীগ নেতা কাজল প্রিয় বড়–য়া, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়–য়া, শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দীন চৌধুরী, কালিম শেখ, মো: নুরুল হুদা, এড. সাইফুন্নাহার খুশী, ডা. চন্দন দত্ত, কবি আসিফ ইকবাল, শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ, হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, আকতার হোসেন, নাছির উদ্দীন রিয়াজ, মো: আইয়ুব, মো: হাসান মুরাদ, মো: ইউসুফ, ডা: শওকত ইমরান, ডা: মো: আব্দুল জলিল, ডা: আবুল কালাম আজাদ, ডা: মো: ইসমাইল, ডা: দুলাল কান্তি দত্ত, আঁচল চক্রবর্তী, নুরজাহান আক্তার নুরা, শাহনাজ সুলতানা, জয়া চৌধুরী, তপতি চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদক বিজয়ী লায়ন এম এ মালেক বলেন, সমাজের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেও যে একজন অসাধারণ মানুষ হওয়া যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার। একজন আইনজীবী কিভাবে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া যায় তা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দেখানো পথ আজকের সমাজের জন্য এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
বক্তারা বলেন, অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার ছিলেন আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্রতী। মানুষের কল্যাণ ও পরোপকারিতা করাই ছিল অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের জীবন দর্শন। বক্তারা আরো বলেন, সমাজের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিজেও সমাজের অনন্য অংশীদার হওয়া যায় তা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার আজীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্রতী ছিলেন বলেই আজ সমাজ তাঁকে নিয়ে আলোচনা করছে এবং অনুসরণ করছে। আজকের তরুণ প্রজন্মকে অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। স্মরণসভায় এড. নুরুচ্ছফা তালুকদারকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ডা: অসীম দাশগুপ্ত।