সোমবার-১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ফেনী নদীর পানি উত্তোলন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত আলোকে যৌথ পরিদর্শন

ভারত ফেনী নদীর পানি উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত আলোকে উভয় দেশের যৌথ নদী কমিশনের(জেআরসি) প্রতিনিধিদল রামগড় স্থলবন্দর মৈত্রী সেতু সংলগ্ন ফেনী নদী মধ্যভাগে প্রস্তাবিত স্থানটি পরিদর্শন করেছে। ভারত ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক(ঘনফুট) পানি উত্তোলন করতে চাচ্ছে। যা প্রতি সেকেন্ডে ৫২ লিটার এবং দিনে প্রায় ৪৫ লাখ লিটার। ফেনী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।

১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল অতিরিক্ত প্রকৌশলী রমজান আলীর নেতৃত্ব বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল ও ভারতের ডিএম এন্ড কালেক্টর সাউথ ত্রিপুরা সাজু ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল সহ দুই দেশের প্রকৌশলীগন প্রথমে যৌথভাবে মৈত্রীসেতুর নিম্নাংশে ত্রিপুরার সাবব্রুম ফেনী নদীর সীমান্ত স্থান ও পরে রামগড়ের মহামনী বিওপি সংলগ্ন ফেনী নদীর স্থান পরিদর্শন করেন।

এসময় পরিদর্শন দলে বাংলাদেশের আরো উপস্থিত ছিলেন যৌথ নদী কমিশন মোঃ মাহামুদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চট্টগ্রাম পাওয়ার সার্কেল শিবেন্দু খাস্তগীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-১ অনুবিভাগ সুবর্ণা শামীম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় উপসচিব পরিকল্পনা-৬ এস এম সরোয়ার কামাল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জীবন কুমার বিশ্বাস, নব কুমার চৌধুরী প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষন ও উন্নয়ন, রামগড় ৪৩ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার পিডব্লিউডি ডাবলু আর গভট অফ ত্রিপুরা, ইঞ্জিনিয়ার মহিতোষ দাস, কমান্ডিং অফিসার ৯৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ অধিনায়ক শ্রী নরেশ কুমার বাকফা সাউথ ত্রিপুরাসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ফেনী নদীর পানি চুক্তি আলোকে ২০১০ সালে যৌথ নদী কমিশনের ৩৭ তম বৈঠকে সাবরুম শহরের মানুষের খাবার পানি সরবরাহের জন্য ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে কারিগরি কমিটির বৈঠকে ৭টি শর্তসাপেক্ষে খাবার পানি সরবরাহের জন্য ‘লো লিফ্ট’ পাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা পরবর্তীত্বে ২০১৯ সালের অগাস্টে ঢাকায় সচিব পর্যায়ে বৈঠকে বাংলাদেশ এ প্রতিশ্রুতি রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫ই অক্টোবর ভারতে শীর্ষ বৈঠকে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype