
সারাদেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। তারিধারা বাহিতকায় রামগড় উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ১০জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযুদ্ধা পাচ্ছেন “বীর নিবাস”। ‘বীর নিবাস’র জন্য চূড়ান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা-ফয়েজ আহম্মদ,(২)বীর মুক্তিযুদ্ধা রুপেন্দ্র ত্রিপুরা,(৩) বীর মুক্তিযুদ্ধা- আবু তাহের ভূঁইয়া,(৪) বীর মুক্তিযুদ্ধা-মোঃ সিরাজুল ইসলাম, (৫)বীর মুক্তিযুদ্ধা- পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা,(৬) বীর মুক্তিযুদ্ধা -মোঃ নুরুল ইসলাম,(৭) বীর মুক্তিযুদ্ধা-চেংঞরী মারমা,(৮) বীর মুক্তিযুদ্ধা-খোকন বড়ুয়া,(৯) বীর মুক্তিযুদ্ধা- কর্ণ মোহন ত্রিপুরা,(১০) বীর মুক্তিযুদ্ধা- অহিদের নবী। এতে “বীর নিবাস” কার্যক্রম পরিদর্শনসহ অসুস্থ বীর মুক্তিযুদ্ধা পূর্ণ কুমার ত্রিপুরা’র জীবনদশা সন্ধিক্ষনে দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় সজ্জায় রয়েছেন। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে অসুস্থ বীর মুক্তিযুদ্ধার খবর নেন ইউএনও(ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মজুমদার। এসময় ইউএনও(ভারপ্রাপ্ত) বলেন,মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রামগড় উপজেলায় ১০জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারকে “বীর নিবাস” কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার যেসব আবাসন নির্মাণ হচ্ছে সে গুলোর কাজ সঠিকভাবে তৈরী করছে কিনা তা তদারকি করছি। নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান ও নির্মাণ কাজে কোন ধরনের অনিয়ম ছাড় দেয়া হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মনসুর আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় ১০জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১কেটি ৩৪লাখ ৩০হাজার টাকা। প্রতিটি আবাসন নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আবাসন নির্মাণের পর এসব ঘরের নাম দেওয়া হবে ‘বীর নিবাস’। “বীর নিবাস” গুলো নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস টেন্ডার আহবান করে এবং ঠিকাদারগন অংশ নেন। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে চট্রগ্রাম, ফটিকছড়ির মেসার্স এলাহি বক্স, খাগড়াছড়ি মাটিরাঙার মেসার্স মাটিরাঙা এন্টার প্রাইজ, খাগড়াছড়ি সদর পানখাইয়া পাড়ার তাপস ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি মাটিরাঙা মাতাব্বর পাড়ার আমিন হোসেন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো কাজটি পায়