
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫ জেলেকে অর্থদণ্ড দিলো ভ্রাম্যমান আদালতঃ ৬ হাজার মিটার জাল ধ্বংস
নিউজ ডেস্কঃ
সরকারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ আহরন করা নিষেধ। কিন্তু মেরিন একাডেমি এলাকায় অবাধে ধরা হচ্ছে মাছ। জেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধভাবে মাছ ও বিভিন্ন মাছের পোনা নিধন করার কাজে ব্যবহৃত প্রায় ছয় হাজার মিটার জাল ধ্বংস করা হয় এবং ৫ জন জেলেকে ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ মঙ্গলবার ০৭ জুলাই সকাল ৮ ঘটিকা থেকে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার ও মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়৷অভিযানে জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যদের নিয়ে সমুদ্রে মাছ নিধন ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযানে গেলে অনেক জেলে খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ উমর ফারুক জানান, সরেজমিনে দেখা যায় অনেক অসাধু নৌকার মালিক ও জেলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে চিংড়ী পোনামাছ ধরতে গিয়ে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পোনাও সাথে নষ্ট করে দিচ্ছে যার ফলে মাছের প্রজনন ব্যহত হচ্ছে। অভিযোগ আছে একটা সিন্ডিকেটের সাথে এ ধরনের কর্মকান্ডের যোগসাজশ রয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে মাঝিদের মাছ ধরতে সহায়তা করে। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক আরো বলেন, আমরা মেরিন ড্রাইভ এলাকায় গেলে খবর পেয়ে অনেক জেলে তাদের সমুদ্র তীরবর্তী পাঁতানো জাল রেখে পালিয়ে যায় আমরা তা জব্দ করি ও নির্দিষ্ট স্থানেই ধ্বংস করি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সমুদ্রে মৎস নিধন রোধ করতে আজকের অভিযান পরিচালনা করি যেহেতু সরকারের বেঁধে দেয়া ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন শেষ হতে এখনো বাকী প্রায় ১৫ দিন। এর মধ্যে জেলেরা মাছ ধরা শুরু করেছে। তাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫ জেলেকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ৬ হাজার মিটার জাল ধ্বংস করা হয়।
এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার ও মোঃ উমর ফারুক।