প্রতিবছরের ন্যায় রামগড় পৌর সভাধীন মাষ্টারপাড়া আনন্দ বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘দানোত্তম কঠিন চীবরদানোৎসব’ পালিত হয়েছে। শুক্রবার(২২নভেম্বর) দিনব্যাপী ‘দানোত্তম কঠিন চীবরদানোৎসব’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। এসময় আনন্দ বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উক্যচিং চৌধুরী’র সভাপতিত্বে কঠিন চীবরদান উৎসবে প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে ধর্মদেশনা প্রদান করেন রামগড় মহামনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুমনা লংকার মহাথেরো।
এছাড়াও মানিকছড়ি উপজেলা গিরিমৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জিন মিত্রা ভিক্ষুসহ দমদমা নিজামপুর সুদর্শন বৌদ্ধ বিহারের প্রিয়নন্দ মহাস্থবির প্রমুখ ধর্মদেশনা প্রদান করেন। এতে পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন ক্রাজাইরী মারমা। উক্ত কঠিন চীবরদানোৎসব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী(অপু)। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন-‘অহিংসা পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ’ বৌদ্ধের এমন অমর বাণীকে বুকে লালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। তাই জগতের সকল প্রাণী ও প্রকৃতির কল্যাণ কামনায় যথাযথ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মালম্বীরা মাসব্যাপী বিভিন্ন বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করছে। তিনি আরো বলেন, যার যার ধর্মের প্রতি সম্মান পবিত্রতা ও মর্যাদার সহীদ পালনসহ সকলকে শান্তি সম্প্রীতির বন্ধনের আহবান জানান। এতে উপস্থিত ছিলেন আনন্দ বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি খ্যাচিংপ্রু চৌধুরী।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা – কাউন্সিলর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি-গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ পরিচালনা কমিটির সদস্য-সদস্যা ও ধর্মপ্রাণ বৃক্তবৃন্দ প্রমুখ। উদযাপন কমিটির আহবায়ক সুইমংচিং চৌধুরী ও সদস্য সচীব চিংহলাপ্রু চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন- দিনব্যাপী অনষ্ঠানে ছিলো জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পঞ্চশীল ও চীবরদান, মধ্যাহ্ন ভোজ, ধর্শদেশনা, প্রদীপ পুজা ও চুলামনি ধাতু উদ্দেশ্যে ফানুস বাতি উড়ানোর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয় ।