শনিবার-১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সরকার বিধিনিষেধে প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে যেভাবে কাজ করছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় করোনা সংকটে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি।

এটি বিবেচনায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন,

সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দফতরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

৩ মে (সোমবার) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য,

মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন, পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।

এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।’

‘করোনায় চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণনজনিত উদ্ভুত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদফতরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২ মে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭‘শ ২০ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫‘শ ৬৮ লিটার দুধ, ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮‘শ ১ টি ডিম, ৫ হাজার ৯‘শ ৩৪ কেজি গরুর মাংস,

১ হাজার ১ ‘শ ৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭‘শ ২৬ কেজি মুরগি এবং ১ ‘শ ৬১ মে. টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।’

এতে আরও বলা হয়, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি ও

বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram
Share on skype
Skype