
‘

সারাদেশে পালিত হবে ১৪তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ আজ ২এপ্রিল (শুক্রবার)।
এ বছর এ দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে ‘আলোকিত হউক উদারতায়।’
দিবসটি সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিলেও কারোনা সংক্রমণের কারণে
এসব কর্মসূচির বেশির ভাগ অনলাইনে পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী ৫ এপ্রিল চিকিত্সক, সাইকোলজিস্ট এবং থেরাপিস্টদের নিয়ে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে ইপনা।
সেই সঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে অনলাইনে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে আজ নীল বাতি প্রজ্বালন করা হবে।
সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)-এর এক গবেষণায় জানা গেছে, গ্রামের তুলনায় শহরে অটিস্টিক শিশু জন্মের হার বেশি।
গ্রামে প্রতি ১০ হাজারে ১৪ জন এবং শহর এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ২৫ শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।
মেয়ে শিশুর চাইতে ছেলে শিশুর মধ্যে অটিজমে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি।
এছাড়াও দেশে ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সি শিশুদের মধ্যে অটিজম বিস্তারের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন।
গ্রামের চেয়ে শহরে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।
তবে ধারণানুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখের মতো অটিজম আক্রান্ত মানুষ রয়েছে।
প্রতি বছর তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিশু।
যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম সোসাইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ অটিজম আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অটিজম কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
অটিজম মূলত মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতাজনিত একটি মানসিক রোগ।
এটি মানুষের হরমোনজনিত সমস্যার বহিঃপ্রকাশ।
এটির প্রতীকী রং নীল। অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য যেমন আলাদা; তেমনি তাদের প্রতিভাও ভিন্ন।
কেউ হয়তো ভালো ছবি আঁকতে পারছে, কেউ বা নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারে।
এসবই অটিজমে আক্রান্ত শিশুর সাফল্য বলে খুশি থাকতে হবে।’
এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্য কেবল মাকে নয়, বাবাকেও সময় ও সহযোগিতা করতে হবে।
জিমনেসিয়াম, সুইমিং পুলে সপ্তাহে অন্তত একদিন বিশেষ শিশুদের জন্য সুযোগ রাখা প্রয়োজন।
বিশেষ শিশুদের অভিভাবকদের অবশ্যই কাউন্সিলিং দরকার।
কারণ এই শিশুদের অভিভাবকরা ভালো থাকলে তাদের সন্তানটিও ভালো থাকবে।