
লোকমান আনছারী রাউজান চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ২২ টি দোকান ও ঘর।২৬ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা সাত টার দিকে নোয়াপাড়া পথেরহাট আমীর মার্কেটের ৩য় তলায় ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে প্রায় ২২টি কক্ষ ভস্মীভুত হয়। এর মধ্যে দর্জি দোকানের কারখানা, ব্যাচেলর বাসা ও বিভিন্ন দোকানের গোডাউন ছিল। এতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। প্রাথমিকভাবে আগুনের সুত্রপাত জানা যায়নি। চট্টগ্রাম কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস ও রাউজান ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। ততক্ষণে ২২টি সেমিপাকা দোকান ও ঘর পুড়ে যায়।
আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এসময় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আশেপাশের দোকানীরা তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। এসময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার। নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল মিয়া।
স্থানীয় নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল মিয়া বলেন, আগুন লাগার খবর জানতে পেরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্থানীয় এবং ব্যবসায়িরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার খবর জানতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী খবরাখবর নেন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার। এসময় চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, ছাঁদের উপরের তলার কক্ষে আগুন লাগায় পানি সঞ্চালন লাইন নিতে ব্যাগ পেতে হয়েছে কিছুটা। আর একটি মাত্র সিড়ি ছিল, যা কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তবে প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি এবং আগুনের সুত্রপাত সম্পর্কে এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।