
ইতিহাস ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। রাষ্ট্র তো নামাজ পড়তে পারে না বা পূজা করতে পারে না। রাষ্ট্র তো গীর্জায় যেতে পারে না। রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি না, রাষ্ট্র একটা প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রের মানুষের ধর্ম থাকবে, নিজ নিজ ধর্ম তারা পালন করবে। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে ‘ধর্মরাষ্ট্রে’ পরিণত করার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সংবর্ধেয় অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। কিন্তু যারা এই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছে,
তাদের অজ্ঞতা এবং মূর্খতা এতটাই বেশি যে, তারা জানে না- নবী হযরত মুহম্মদ (দ.) আরব দেশকে কিন্তু নিজেই ধর্মীয় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেননি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে সেই ভয়াবহ রাজনৈতিক শক্তি এখনও রয়ে গেছে। যারা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বোমা মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল, যারা আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সংখ্যালঘু শব্দটা আমি কখনোই বলতে চাই না। কারণ তারাই সংখ্যালঘু যারা বাংলাদেশের আদর্শকে মানে না, ধারণ করে না।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের দেশ অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ। এদেশের মূল যে শিকড় সেটি বাঙালি জাতিসত্তা। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ হয়েছিল পাকিস্তান। আমরা কিন্তু সেটিকে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশ করেছি।
এখানে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই। যারা করতে চান তারা এদেশের মূলে আঘাত করতে চান। অন্যায়ের কাছে, বিভক্তির কাছে মাথা নত করা যাবে না।
গতকাল ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের ধর্ম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি ছিলেন উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধর্ম সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শংকর সেনগুপ্ত, জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা পরিষদের সদস্য সচিব রতন ভট্টাচার্য্য, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, মহানগর জন্মাষ্টমীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রত্মাকর দাশ টুনু, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, সুমন দেবনাথ।
এম.জে.আর